Advertisement
Advertisement
গেরিলা রাজনীতি

নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় ‘গেরিলা রাজনীতি’ করছে কংগ্রেস, অভিযোগ মোদির

ভিডিওতে শুনুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য।

PM Modi on CAA protests: Congress playing guerrilla politics

ঝাড়খণ্ডের সভায় প্রধানমন্ত্রী

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 17, 2019 8:01 pm
  • Updated:December 17, 2019 8:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিসেম্বরের ৯ তারিখ লোকসভায় পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বুধবার জোটে রাজ্যসভার অনুমোদন। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে বিলটিতে সই করে তাকে আইনে পরিণত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। আর তারপর থেকেই বিক্ষোভ শুরু হয় অসম-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে। আস্তে আস্তে তার রেশ ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও। মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ার বেশকিছু জায়গায় রাস্তা অবরোধ হয়। উলুবেড়িয়া ও মালদহ-সহ বেশ কয়েকটি রেল স্টেশনে প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব চালায় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কয়েকটি লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেল। রাজ্যের তরফেও বেশ কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়। এই সব বিষয় নিয়ে এতদিন ধরে অনেকে বহু মন্তব্য করেছেন। কিন্তু, সেই অর্থে কিছু বলেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অবশেষে মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী জনসভা করতে গিয়ে এই বিষয়ে সরাসরি কংগ্রেসকে দায়ী করলেন। সংশোধিত নাগরিক আইনের বিরোধিতার নামে তারা গেরিলা রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ জানালেন।

আজ ঝাড়খণ্ডের বারহাইটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘CAA নিয়ে মিথ্যে বলে মানুষের মধ্যে অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কংগ্রেস। এর জন্য পুরো শক্তি লাগিয়েছে মিথ্যের মায়াজাল তৈরি করেছে। হিংসাতেও মদত দিচ্ছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ফলে ভারতের হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিশ্চান ও জৈন সম্প্রদায়ের নাগরিকদের কোনও ক্ষতি হবে না। এটা জানা সত্ত্বেও এই আইন সম্পর্কে কংগ্রেস ও তাদের সঙ্গীরা গুজব ছড়াচ্ছে। গেরিলা রাজনীতি করে দেশে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাশ্মীর সীমান্তে ফের ভারতের সঙ্গে গুলির লড়াই, খতম দুই পাকিস্তানি কমান্ডো]

 

Advertisement

এরপরই সরাসরি চ্যালেঞ্জ ঠুকে বলেন, ‘আমি কংগ্রেস ও তাদের সহযোগীদের চ্যালেঞ্জ করছি। যদি তাদের ক্ষমতা থাকে তাহলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করুক, পাকিস্তানের সমস্ত নাগরিককে ভারতের নাগরিকত্ব দেবে তারা। এর পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখে ফের ৩৭০ ধারা চালু করবে। তাদের প্রকাশ্যে ফের তিন তালাক চালুর কথা ঘোষণা করতে হবে। আর যদি তারা এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তাহলে গণপিটুনি ও গুজব ছড়ানোর ঘটনা বন্ধ করার কথাও বলতে হবে। আর যদি তা নয় তাহলে অবিলম্বে এই গেরিলা রাজনীতি বন্ধ করুক তারা।’ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ