সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী দুই মেরুতে! দেশের সবচেয়ে চর্চিত ইস্যু, এনআরসি নিয়ে অন্তত মোদি-অমিত শাহর বক্তব্যে কোনও মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) যেখানে একাধিকবার প্রকাশ্যে বলেছেন, ২০২৪ নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে এনআরসি চালু করা হবে। সেখানে রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল অন্য কথা। মোদি বলছেন, “আমি ক্ষমতায় আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি।”
এনআরসি (National Register of Citizens of India) তথা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। অসম এনআরসিতে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠার পরও অমিত শাহ যেভাবে দেশব্যাপী এনআরসি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তাতে সংখ্যালঘুদের মধ্যে রীতিমতো ভীতির সঞ্চার হয়েছে। তাঁরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে এনআরসির প্রাথমিক পর্যায় হিসেবেই গণ্য করছেন। এবং এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) দেশের সমস্ত সংখ্যালঘু তথা ১৩০ কোটি জনতার উদ্দেশে অভয়বাণী দেন।
মোদির বক্তব্য, কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকতে হবে না। তাঁর কথায়, “আমি আমার ১৩০ কোটি ভারতবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, ২০১৪ সালে আমার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখনও পর্যন্ত, এনআরসি নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। দেশের কোনও মুসলমানকে ডিটেনশন শিবিরে পাঠানো হচ্ছে না। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন। সিএএ ভারতের কোনও নাগরিক, তা তিনি হিন্দু হোক বা মুসলমান, তাঁদের জন্য নয়। এতে দেশের ১৩০ কোটির কোনও নাগরিকের উপর প্রভাব পড়বে না।” সংখ্যালঘুদের আরও নিশ্চিন্ত করার উদ্দেশে মোদি বলেন, “এনআরসি আমাদের আমলে তৈরি হয়নি। তৈরি হয়েছিল কংগ্রেস আমলে। অসমে এনআরসিও আমাদের জন্য হয়নি। আমাদের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই এটা করতে হয়েছে।”
এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি বিজেপি এনআরসির দাবি থেকে পিছিয়ে আসছে? কারণ, সংসদে দাঁড়িয়ে সদর্পে অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, দেশজুড়ে এনআরসি হবে। বিজেপির তরফ থেকে টুইট করেও সেকথা ঘোষণা করা হয়। পরে সেই টুইটিও ডিলিট করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এবার মোদিও উলটো সুরে কথা বলছেন। তাতেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে, চাপের মুখে কিছুটা হলেও পিছু হটছে গেরুয়া শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.