Advertisement
Advertisement

Breaking News

জানুয়ারি থেকে নতুন অর্থবর্ষ চান মোদি

আলোচনা চান লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করার প্রস্তাবের উপরেও৷

PM Narendra Modi pitches for advancing financial year to January-December
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 24, 2017 4:34 am
  • Updated:October 7, 2019 5:20 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজেট অধিবেশন এগিয়ে আনার পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য অর্থবর্ষকে এগিয়ে আনা৷ প্রধানমন্ত্রী চান, নয়া অর্থবর্ষ শুরু হোক জানুয়ারি থেকে, শেষ হোক ডিসেম্বরে৷ নীতি আয়োগের বৈঠকে এ বিষয়ে তিনি রাজ্যগুলিকে ভাবনা চিন্তা শুরু করতে বলেছেন৷ ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তিনি একাধিক গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন বলে খবর৷

জানুয়ারি থেকে নয়া অর্থবর্ষ শুরুর লক্ষ্যে প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা শঙ্কর আচার্যের নেতৃত্বে একটি প্যানেল তৈরি হয়েছে৷ এই প্যানেল বিষয়টির পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তি-সহ বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করবে কেন্দ্রকে৷ বর্তমানে এ দেশে এপ্রিল থেকে শুরু হয় নয়া অর্থবর্ষ৷ যদিও বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই পয়লা জানুয়ারি থেকে শুরু হয় নতুন অর্থবর্ষ৷ এবার সেই পথেই হাঁটতে চান দেশের প্রধানমন্ত্রী৷

Advertisement

রবিবার নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের তৃতীয় বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের দীর্ঘ, মাঝারি ও স্বল্পমেয়াদি অ্যাকশন প্ল্যান সব রাজ্যকেই সুবিধা দেবে৷ তিনি নীতি প্রণয়নে রাজ্যের দায়িত্বের কথাও উল্লেখ করেছেন৷ তাঁর বক্তব্য, নীতি আয়োগের মূল কথাই বল সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় পদ্ধতি৷ লোকসভা ও বিধানসভার ভোট একসঙ্গে করার জন্য কেন্দ্র যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা নিয়েও আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷

দেশের সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন৷ তবে ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ মমতা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির জন্য তিনি বৈঠকে থাকতে পারবেন না৷ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এদিন দিল্লিতে ছিলেন৷ কিন্তু তিনি বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি৷ কারণ বৈঠকটিতে কেবলমাত্র মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের রাজ্যের তরফে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বলা হয়েছিল৷ অন্যদিকে, এদিন দিল্লিতে পুরভোট থাকার কারণে বৈঠকে আসতে পারেননি কেজরিওয়াল৷

প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, “নীতি আয়োগ ১৫ বছরের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য, সাত বছরের মাঝারি মেয়াদি কৌশল এবং তিন বছরের অ্যাকশন অ্যাজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে৷” তিনি বলেন, “নতুন ভারত-এর লক্ষ্য একমাত্র সকল রাজ্যের মিলিত প্রচেষ্টাতেই সম্ভব৷ সব রাজ্যের ও মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতাতেই তা বাস্তব হবে৷”

স্বাধীনতার পরে দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য যোজনা কমিশন গঠন করা হয়েছিল৷ সেখানে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ হত৷ ২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংস্কার কর্মসূচিতে গতি আনতে যোজনা কমিশনের বিলোপ করা হয়৷ সেই জায়গায় গঠিত হয় নীতি আয়োগ৷ প্রধানমন্ত্রীর মতে, দেশের বিকাশে নীতি আয়োগ ক্রমশ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্র, বেসরকারি ক্ষেত্র ও নাগরিক সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে৷ প্রশাসনিক বা অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নয়, নীতি আয়োগের আসল শক্তি হল ভাবনায়৷

পণ্য ও পরিষেবা কর সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট চারটি বিলে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিয়েছেন৷ এরপর সেই বিলগুলি রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়ার অপেক্ষা৷ ১ জুলাই থেকে সারা দেশে এই অভিন্ন অপ্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থা কার্যকরের লক্ষ্য স্থির করেছে কেন্দ্র সরকার৷ এদিনের বৈঠকে পণ্য ও পরিষেবা কর নিয়েও সব রাজ্যের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ তিনি বলেন, জিএসটি বিল সব রাজ্যের ঐকমত্য ইতিহাসের পাতায় সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় পদ্ধতির নিদর্শন হয়ে থাকবে৷ জিএসটি-র মাধ্যমে এক দেশ, এক লক্ষ্য, এক ইচ্ছার আদর্শ প্রতিফলিত হয়৷ এই নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক চলতেই পারে৷ অন্যদিকে, লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করার যে প্রস্তাব কেন্দ্র থেকে করা হয়েছে, তা নিয়েও আলোচনার প্রয়োজনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷

রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷ ছিলেন নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত৷ বৈঠকে ‘দারিদ্র দূরীকরণ’ এবং ‘কৃষি উন্নয়ন’ নিয়ে টাস্কফোর্স চূড়ান্ত করা হয়েছে৷ কেজরিওয়াল উপস্থিত থাকতে না পারলেও দিল্লি সরকারের হয়ে বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, মুখ্যমন্ত্রী বা উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন না৷ বৈঠকে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মধ্যে পাঞ্জাব, বিহার, ওড়িশা, কর্নাটক, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন৷ উত্তরপ্রদেশের নতুন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও সেখানে ছিলেন৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিং, নীতিন গড়করি, সুরেশ প্রভু, প্রকাশ জাওড়েকর ও স্মৃতি ইরানি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ