Advertisement
Advertisement

Breaking News

সুষমা

খুশি হয়েছেন কাশ্মীরের ‘পুনর্জন্মে’, শেষ টুইটে মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে গেলেন সুষমা

শোকপ্রকাশ মোদি-মমতা-রাহুলের।

Poilitical leaders condolence in death of Sushma Swaraj
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 7, 2019 12:09 am
  • Updated:August 7, 2019 12:15 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী। আমি সারাজীবন এই দিনটা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম।” শেষ টুইটে লিখেছিলেন সুষমা স্বরাজ। মঙ্গলবার সন্ধে ৭ টা ২৩ মিনিটে তিনি যখন এই টুইটটি করছেন তখনও ভারতবাসী জানত না এটাই হয়তো শেষ টুইট হবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে সক্রিয় বিদেশমন্ত্রী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভারতীয় রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন, প্রয়াত বর্ষীয়ান বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ]


যখন বিদেশমন্ত্রী ছিলেন, বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলতো, ‘টুইটার মন্ত্রী’। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যখনই কোনও ভারতবাসী বিপদে পড়েছেন, সমস্যায় পড়েছেন তাদের মায়ের মতোই আগলে রেখেছেন সুষমা স্বরাজ। নিজ দায়িত্বে ভারতীয় দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়ে দেশে ফিরিয়েছেন অসংখ্য ভারতীয়কে। শুধু বিদেশ থেকে উদ্ধার করাই নয়, টুইটারে যে কোনও ইস্যুতে তাঁর সক্রিয়তা ছিল প্রশংসনীয়। শেষ টুইটে তিনি নিজে প্রশংসা করে গেলেন নরেন্দ্র মোদির। স্বপ্ন ছিল কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা উঠে যাবে। তাঁর জীবনের শেষদিনে এসে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সে জন্যই তো লিখলেন, এই দিনটার জন্য সারাজীবন অপেক্ষা করেছি…।

[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীরবাসীকে স্যালুট’, লোকসভায় পুনর্গঠন বিল পাশের পরই মুখ খুললেন মোদি]


ভারতীয় রাজনীতিতে যদি মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে বলতে হয় তাহলে সর্বাগ্রে উচ্চারিত হবে সুষমার নাম। রাজনৈতিক দৃঢ়তা, এবং অসামান্য বগ্মিতা তাঁকে জনপ্রিয় করেছিল শত্রুদের মধ্যেও। একসময় সোনিয়া গান্ধীর তীব্র বিরোধী ছিলেন। ২০০৪ সালে সোনিয়া যখন প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার হলেন, তখন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিদেশি বংশোদ্ভূত কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি মস্তক মুণ্ডণ করে অশৌচ পালন করবেন। আসলে, যখনই যে প্রান্ত দেশমাতৃকার সম্মানের প্রসঙ্গ এসেছে সুষমা স্বরাজকে একচুলও সমঝোতা করতে দেখেননি কেউ। প্রয়োজনে বিপক্ষে গিয়েছেন দলের লাইনেরও। তাঁর মৃত্যুর পর সেকথা মনে করিয়ে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।


তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত রাজনৈতিক মহল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখছেন, সুষমাজির মৃত্যু আমার কাছে ব্যক্তিগত ক্ষতি। দেশের জন্য তিনি যা করেছেন, তাঁর জন্য দেশ তাঁকে মনে রাখবে। ওনার সমর্থক এবং পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।

 

অমিত শাহ লিখছেন, “সুষমাজির মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত দুঃখ পেয়েছি। ওনার মতো বিরল, সাহসী এবং সহজ সরল নেত্রী পাওয়া আমাদের জন্য সৌভাগ্যের।”

>

 

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী লিখছেন,” সুষমাজি আর আমাদের মধ্যে নেই। আমি স্তম্ভিত। অসাধারণ রাজনৈতিক নেত্রী ছিলেন, বিরোধী দলেও তাঁর অনেক অনুগামী ছিল।”

এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখছেন, “সুষমাজির মৃত্যুতে আমি শোকাহত। আমরা আলাদা আলাদা মতাদর্শে বিশ্বাস করলেও, সংসদে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে ওনার সঙ্গে।ওনাকে মিস করব। ওনার পরিবারের প্রতি সমবেদনা।”

সুষমা স্বরাজের মৃতদেহ এইমস হাসপাতাল থেকে তাঁর দিল্লির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ রাতে সেখানেই রাখা হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ