Advertisement
Advertisement

Breaking News

মৃত্যুর আগে মা-বাবাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ, দিল্লিতে যুবকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য

খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত যুবকের অভিভাবক।

Police found deadbody of a delivery boy,who did WhatsApp to his parents
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 4, 2019 4:21 pm
  • Updated:July 4, 2019 4:21 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোয়াটসঅ্যাপে মা,বাবাকে বার্তা পাঠিয়ে মৃত্যুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন৷ তার তিনদিন পর দিল্লিতে যমুনা
নদীর তীরে মিলল ২৬ বছরের এক যুবকের মৃতদেহ৷ পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারের পর তাঁকে শনাক্ত করেছে৷ হর্ষ খাণ্ডেলওয়াল নামে চাঁদনি
চকের বাসিন্দা ওই যুবক পেশায় একটি অনলাইন সংস্থার ডেলিভারি বয়৷ সূত্রের খবর, হোয়াটসঅ্যাপে মা-বাবাকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি দুঃখিত৷ আমাকে ক্ষমা কোরো৷ কিছুক্ষণ পর আমার মৃতদেহ আইটিও ব্রিজের নিচে পাবে৷ আর আমার পার্স, মোবাইল সব থাকবে ফ্লাইওভারের উপর৷’

[আরও পড়ুন: ‘লড়াই চালিয়ে যাব’, মানহানি মামলায় জামিন পেয়ে মন্তব্য রাহুলের]

এই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ দেখে পুলিশও রীতিমতো শিউড়ে উঠছে৷ এত ঠাণ্ডা মাথায় কীভাবে মৃত্যুর ইঙ্গিত দিলেন হর্ষ? এই প্রশ্নই তাড়া
করে বেড়াচ্ছে দুঁদে গোয়েন্দাদের৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনা জুনের ৩০ তারিখের৷ ওইদিন ৬ জন বন্ধুর সঙ্গে মুর্থালে গিয়েছিলেন হর্ষ৷ উপলক্ষ্য ছিল, এক বন্ধুর স্ত্রীর জন্মদিন পালন৷ পরেরদিন অর্থাৎ ১ জুলাই, মা-বাবাকে হোয়াসঅ্যাপে মেসেজ করেন হর্ষ৷ তাতে লেখা – ‘মা ও বাবা, আমি দুঃখিত৷ আমাকে তোমরা ক্ষমা কোরো৷ আমার স্কুটার, পার্স, মোবাইল সব তোমরা আইটিও ফ্লাইওভারে দেখতে পাবে৷ আর আমার নিথর দেহ পাবে ব্রিজের নিচে৷’ এই বার্তা দেখে স্বভাবতই হর্ষের মা, বাবা দিশেহারা হয়ে পড়েন৷ সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ছুটে যান আইটিও ব্রিজের কাছে৷ দেখেন, ছেলে যেমনটি বলেছিল, সেভাবেই ফ্লাওভারের উপর পড়ে রয়েছে তার স্কুটার, পার্স৷ কিন্তু ব্রিজের নিচে কোথাও ছেলেকে দেখতে পাননি৷ আর তাতে আরও দিশেহারা হয়ে তাঁরা ইন্দ্রপ্রস্থ (পূর্ব) থানায় যোগাযোগ করেন৷ প্রথমদিকে পুলিশ ঘটনার তেমন গুরুত্ব দিতে চায়নি বলে অভিযোগ করেন হর্ষের অভিভাবকরা৷ কিন্তু পরে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজটি ভাল করে খুঁটিয়ে দেখার পর পুলিশকর্তারা বুঝতে পারে, বিষয়টি এতটা সরল নয়৷ ফলে হর্ষের খোঁজে নামে পুলিশ৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: বনাধিকারিকের সামনেই চিতাবাঘকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা, ভাইরাল ভিডিও]

তিনদিন পর যমুনার ধার থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ৷ একদল কাগজ কোড়ানিদের চোখে পড়ে মৃতদেহটি৷ তারাই পুলিশকে খবর
দেয়৷ পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে হর্ষের মা, বাবাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান৷ শনাক্ত করা হয় হর্ষকে৷ এরপরই হর্ষের অভিভাবকরা অভিযোগ দায়ের করেন
যে তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে৷ তাঁরা বলছেন, ১ জুলাই সকালেই ছেলের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছিল৷ ছেলে জানিয়েছিল, শিগগিরই বাড়ি ফিরবে৷ কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরই এমন হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা৷ তিনদিন পর দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ তাতেই খুনের সন্দেহ আরও দানা বাঁধছে৷ গুরুত্ব দিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ