Advertisement
Advertisement

মহরমের দিনেও বর্বরতা! কাশ্মীরে তিন পুলিশ কর্মীকে হত্যা করল জঙ্গিরা

সোপিয়ানে খতম দুই জঙ্গি, এখনও চলছে গুলির লড়াই৷

 police personnels have gone missing in Kashmir, encounter underway

ফাইল ফটো

Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 21, 2018 10:09 am
  • Updated:September 21, 2018 10:26 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহরমের মধ্যে তাঁদের বর্বরচরিত্র বজায় রাখল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। শুক্রবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ান তিন জন পুলিশ অফিসারকে হত্যা করল তারা৷ এখনও নিখোঁজ আরও এক পুলিশ কর্মী। এদিন সকালেই চারজনকে প্রথমে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। অপহৃত পুলিশ কর্মীদের মধ্যে তিনজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও একজন পুলিশ কর্মী রয়েছেন৷ অনুমান, শহিদ জওয়ান নরেন্দ্র কুমারের মতোই তাঁদেরও অপহরণ করা হয়েছে৷ এর পিছনে উপত্যকায় আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলেই আশঙ্কা৷ এছাড়া, বান্দিপোড়ার জঙ্গলে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করেছে বিএসএফ জওয়ানরা৷ এখনও চলছে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই৷

[আতঙ্কের উড়ান, অক্সিজেনের অভাবে মাঝ আকাশে রক্তাক্ত যাত্রীরা]

Advertisement

ইতিমধ্যেই পাক রেঞ্জার্স ও উপত্যকায় আত্মগোপন করে থাকা পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনাকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ বুধবার বিএসএফ জওয়ান নরেন্দ্র কুমারকে গলা কেটে নৃশংস ভাবে হত্যা করে পাক রেঞ্জার্সরা৷ ঠিক তার তারপরের দিনই, বৃহস্পতিবার বান্দিপোড়ার জঙ্গলকে ব্যবহার করে জম্মু-কাশ্মীরের অন্দরে প্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা৷ সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বান্দিপোরার জঙ্গলে সন্দেহভাজন গতিবিধি চোখে পড়ে৷ এরপর সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গেলে, সেনার উপরে গুলিবর্ষণ করতে শুরু করে জঙ্গিরা৷ পালটা জবাব দেয় সেনা৷ প্রাচীরের মতো তাদের বাধা দেয় ভারতীয় জওয়ানরা৷ শুরু হয় গুলির লড়াই৷ সূত্রের খবর, গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে দুই সন্ত্রাসীকে৷ এখনও চলছে সেনা-জঙ্গির গুলির লড়াই৷ উত্তপ্ত রয়েছে উপত্যকার পরিস্থিতি৷ জায়গায় জায়গায় চলছে সার্চ অপারেশন৷ এমত সময়ে সেনাকে শক্ত হাতে উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের স্বাধীনতা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং৷

Advertisement

[৩৩ বছরের লজ্জা মুছে শাস্তিযোগ্য তিন তালাক, সিলমোহর রাষ্ট্রপতির]

কেবল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, অমানবিক হত্যাকাণ্ডের জন্য পাক রেঞ্জার্সদের মোক্ষম জবাব দেওয়ার আবেদন এসেছে শহিদ বিএসএফ জওয়ান নরেন্দ্র কুমারের পরিবারের পক্ষ থেকেও৷ সূত্রের খবর, শহিদ জওয়ানের রক্ত যাতে বিফলে না যায় সেই অনুরোধই করা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ঘাস কাটতে সীমান্তের কাছে গিয়েছিলেন ভারতীয় জওয়ানরা। তখনই সকাল ১০.৪০ মিনিট নাগাদ গুলি চলে। ৬ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ ছিলেন বিএসএফের হেড কনস্টেবল নরেন্দ্র কুমার। বুধবার সকালে ঝুঁকি নিয়েই নিখোঁজ জওয়ানের সন্ধানে নামে বিএসএফ। তখনই জম্মুর রামগড় সেক্টরে ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তে মেলে বিএসএফ জওয়ান নরেন্দ্র কুমারের গলাকাটা দেহ। তাঁর দেহ পড়ে ছিল সীমান্তের খুব কাছে। উদ্ধার হয় দেহ। তাঁর দেহে মিলেছে ৩টি গুলির চিহ্ন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ