Advertisement
Advertisement

Breaking News

জিনিসের ভারে নুয়ে পড়ছেন ডেলিভারি বয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অমানবিক ছবি

জন্তুর সঙ্গেও এরকম ব্যবহার করা হয় না, সরব নেটিজেনরা।

Post on work condition of bigbasket goes viral
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 27, 2018 2:16 pm
  • Updated:August 21, 2018 8:43 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইরে উষ্ণতা পারদ ছুঁয়েছে ৪৩ ডিগ্রি। দাবদাহে ঝলসাচ্ছে শহর। ঠিক সেই সময় জিনিস সরবরাহ করতে এলেন ডেলিভারি বয়। মালপত্র দিয়ে তিনি যখন চলে যাচ্ছেন তখন দৃশ্যতই নুয়ে পড়েছেন। এ ছবি দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি ক্রেতা। ডেলিভারি বয়ের অজান্তেই সে ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন। এবং সরব হয়েছেন এক্সপ্লয়টেশন নিয়ে।

[  গগনদীপই একজন সত্যিকার ভারতীয়, কুর্নিশ বিদ্যা-ফারহানের ]

Advertisement

সৌরভ ত্রিবেদী নামে ওই ব্যক্তির পোস্ট রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফোনে জিনিস অর্ডার দেওয়া। টুক করে বাড়িতে বসেই হাতে জিনিস পাওয়া। চলতি সময়ের এটাই রেওয়াজ। কিন্তু এর বিনিময়ে কিছু মানুষকে যে কী অসম্ভব চাপ নিতে হয়, তারই প্রমাণ এ ছবি। কেন এই পাহাড়প্রমাণ বোঝা হইতে হচ্ছে ডেলিভারি বয়কে? অনেকাংশেই দায়ী কোম্পানির পলিসি। বিগবাস্কেট নামে যে ই-কমার্স সংস্থার হয়ে তিনি কাজ করেন, তাদের নিয়ম হচ্ছে, যত বেশি ডেলিভারি দেওয়া যাবে তত উপার্জন। তাতে কাকে কী যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে সংস্থা তার পরোয়া করে না। ক্ষুব্ধ সৌরভবাবু লিখেছেন, কোনও জন্তুর সঙ্গেও এরকম ব্যবহার করা হয় না। এত ভার এই মানুষটিকে বইতে হচ্ছে, কারণ সংস্থার তরফে তাঁকে দেওয়া হয়েছে একটা বিরাট ব্যাগ। তার মধ্যেই মালপত্র ঠেসে পিঠে চাপিয়ে ডেলিভারি দিতে হচ্ছে তাঁকে। ভারে প্রায় নুয়ে পড়ছেন ওই ব্যক্তি। যদিও তিনি অনুনয় করেছিলেন, এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলতে। কারণ চাকরি যাওয়ার ভয়। তবু চুপ করে থাকেননি সৌরভবাবু। ওই ব্যক্তির পরিচয় গোপন করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে সরব হন। বহু মানুষ এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। সংস্থার সঠিক নিয়ম থাকলে কর্মীদের যে এভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয় না, এমনটাই মত অনেকের।

Advertisement

সৌরভবাবুর প্রতিবাদ অবশ্য বৃথা যায়নি। প্রথমে সংস্থার তরফে তাঁর কাছে কর্মীর পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করেন সৌরভবাবু। কারণ তাতে কর্মীর উপর কোপ পড়তে থাকে। তবে সেখানেই অবশ্য বিষয়টি থেমে থাকেন। প্রায় ২১,৮১৭ জন মানুষ পোস্টটি শেয়ার করেন। ফলে দ্রুত এই অমানবিক চিত্র ছড়িয়ে পড়ে। বেগতিক বুঝেই আসরে নামে ই-কমার্স সংস্থাটি। জানানো হয়, কোম্পানির তরফে বিশেষ ব্যাগ বা বাস্কেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যা সহজে বাইকে করে নিয়ে যেতে পারবেন ডেলিভারি বয়রা। ফলে এভাবে পিঠে করে জিনিস বওয়ার যন্ত্রণা তাঁদের সহ্য করতে হবে না। সংস্থার তরফে জানানো হয়, সমস্ত শহরেই এই ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ