Advertisement
Advertisement
প্রণব মুখোপাধ্যায়

‘বিপুল সংখ্যক আসন মানেই জনমতের আধিক্য নয়’, মোদি-শাহর সমালোচনা প্রণবের

লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ১০০০ করার দাবি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির।

Pranab Mukherjee criticised BJP about 'majoritarianism'
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 17, 2019 11:43 am
  • Updated:December 17, 2019 11:50 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটব্যাংক বিপুল সংখ্যায় ভরিয়ে কোনও একটি রাজনৈতিক দলকে স্থায়ী সরকার গঠনের সুযোগ করে দেন দেশবাসী। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, সেটাই সংখ্যাগুরু জনতার মত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর স্মরণে সোমবার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক বক্তৃতায় এই মন্তব্য করে পরোক্ষে মোদি সরকারকে বিঁধলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।

তাঁর সতর্কবার্তা, ১৯৫২ সাল থেকেই বিভিন্ন দল বিপুল সংখ‌্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দেশের ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু কখনও কোনও দল ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসেনি। অর্থাৎ সংখ‌্যাগরিষ্ঠ মানুষ সর্বদাই নির্বাচিত সরকারের বিপক্ষেই থেকেছে। প্রণববাবু বলেছেন, “নির্বাচনে অঙ্কের হিসাবে গরিষ্ঠতা কোনও দলকে স্থায়ী, স্থিতিশীল গড়ার অধিকার দেয়। কিন্তু জনপ্রিয় গরিষ্ঠতার অভাব আধিপত‌্যবাদী সরকার গড়ার অধিকার ও ক্ষমতা দেয় না। এটাই আমাদের দেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের বার্তা এবং নির্যাস।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এভাবেই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রণব মুখোপাধ্যায় সংখ্যার নিরিখে মোদি সরকারের অহংকে আঘাত করতে চাইলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ট্রেন বাতিলে আকাশপথই ভরসা, অগ্নিমূল্য উত্তরবঙ্গ-অসমের বিমানভাড়া]

সোমবারের বক্তৃতায় প্রণববাবু আরও বলেন, যত ভোটার, সেই অনুপাতে জনপ্রতিনিধি নেই। তাই লোকসভার আসন সংখ‌্যা বাড়িয়ে ১,০০০ করা হোক। একইভাবে রাজ‌্যসভায় আসন বাড়ানোর কথা বলেছেন তিনি। বর্তমানে লোকসভায় ৫৪৩টি এবং রাজ‌্যসভায় ২৪৫টি আসন রয়েছে। তাঁর যুক্তি, ১৯৭৭ সালে শেষ দফায় লোকসভার আসন সংখ‌্যা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। যার ভিত্তি ছিল ১৯৭১ সালের জনগণনা। তখন
দেশের জনসংখ‌্যা ছিল ৫৫ কোটি। বর্তমানে দেশের জনসংখ‌্যা প্রায় ১৩০ কোটি। অথচ আসন ৪২ বছরে বাড়েনি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বলেন, জনসংখ‌্যা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণের বেশি। সেজন‌্য আসন সংখ‌্যা অন্তত ১,০০০ হওয়া দরকার। প্রণববাবু বলেন, নানা ধরনের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারতেন বাজপেয়ী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ধর্ষণে বাধা পেয়ে তরুণীর গায়ে আগুন ধরাল প্রতিবেশী, হাসপাতালে মৃত্যু]

এর আগে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের আমন্ত্রণে গত বছর নাগপুরে কার্যালয়ে গিয়ে বক্তৃতা দিতে দেখা গিয়েছিল প্রণব মুখোপাধ্যায়কে। তখন থেকে জল্পনা উসকে উঠেছিল, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অবসরের পর তিনি নতুন করে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করতেই সংঘ ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন কি না। কিন্তু সোমবারের বক্তব্যে স্পষ্ট, বর্তমান সরকারের সমালোচক একদা কংগ্রেসের একনিষ্ঠ নেতা প্রণব মুখোপাধ্যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ