সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় ছিলেন নরেন্দ্র মোদির কৌঁসুলি। অনেকে মনে করেন, ২০১৪ ভোটে মোদির বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতার পিছনে ছিল তাঁরই মগজাস্ত্র। এরপর অবশ্য প্রশান্ত কিশোর রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও কাজ করেছেন। ভোটের পর মোদির সঙ্গে ছাড়েন। জেডিইউ তাঁকে নিয়োগ করে ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট হিসেবে। বিহারে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের ধারণাটা প্রশান্ত কিশোরের মাথা থেকেই বেরিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের সময় তিনি ছিলেন কংগ্রেসে ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে সাফল্য আসেনি। কিছুদিন আগেই ঘোষণা করেছিলেন আর পর্দার আড়ালে নয়, এবার সরাসরি সক্রিয় রাজনীতি করতে চান তিনি। যোগ দিয়েছিলেন নীতীশ কুমারের জেডিইউতে। এবার জেডিইউ তাঁকে বড় পুরস্কার দিল।
[রাজনীতিতে পা রাখলেন হাসিন জাহান, যোগ দিলেন কংগ্রেসে]
জনতা দল ইউনাইটেডের সহ-সভাপতি হলেন প্রশান্ত কিশোর। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার প্রশান্তকে দলের সহ-সভাপতি পদে নিয়োগ করার কথা জানান। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে এটা স্পষ্ট যে, আগামী লোকসভা ও পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউয়ের তরফে নির্বাচনী রণকৌশল তৈরির দায়িত্ব থাকবে এই নবীন নির্বাচনী বিশেষজ্ঞর হাতে।
[প্রকাশ্যে বন্দুক হাতে মহিলাকে হুমকি প্রাক্তন সাংসদের ছেলের, ভাইরাল ভিডিও]
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী রণকৌশল রচনা করেছিলেন এই বিশেষজ্ঞ। পরে তিনি নীতীশের হয়ে কাজ করেন। সেই থেকেই প্রশান্তর সঙ্গে নীতীশের ব্যক্তিগত সখ্য গড়ে ওঠে। যার জেরে কিছুদিন আগে প্রশান্ত জেডিইউতে যোগ দেন। জেডিইউ মুখপাত্র কে সি ত্যাগী এদিন বলেছেন, প্রশান্তকে দায়িত্ব দেওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছে দলের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে। দলের পরিচিত সমর্থকরা ছাড়াও নতুন ভোটারদেরও সমর্থন মিলবে।” নীতীশের উত্তরসূরি কে? বেশ কিছুদিন ধরেই বিহারে এ বিষয়ে জল্পনা চলছিল। প্রশান্তকে দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ায় এদিন সেই জল্পনার অবসান হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।