Advertisement
Advertisement

দ্বন্দ্ব মিটিয়ে উনিশের আগেই টিম মোদিতে শামিল হচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর!

বাড়ছে জল্পনা৷

Prashant Kishor may return to Team Modi for 2019
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 15, 2018 6:01 pm
  • Updated:July 15, 2018 6:01 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি সরকার৷ মোদি-শাহের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে কার্যত নির্বাচনী স্টেডিয়ামের বাইরে গিয়ে পড়েছিল সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল৷ কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, এই খেলায় নেপথ্যে থেকেই অংশগ্রহণ করেছিলেন এক ব্যক্তি৷ অন্তরালে থেকে ২০১৪-র লোকসভায় পদ্ম শিবিরের নির্বাচনী প্রচার পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিলেন যিনি৷ তাঁর নাম, প্রশান্ত কিশোর৷ ২০১৪-র লোকসভার পরেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন তিনি৷ কিন্তু, শোনা যাচ্ছে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও ময়দানে নামতে চলেছেন মোদি-শাহ-প্রশান্ত ত্রয়ী৷ ইতিমধ্যে কথাও এগিয়েছে অনেকটা৷ যদিও এই বিষয়টিকে এখন গোপনই রাখতে চাইছে উভয়পক্ষ৷

[জোট সরকার শরীরে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে, কুমারস্বামীর মন্তব্যে জল্পনা]

Advertisement

সূত্রের খবর, বিজেপির পক্ষ থেকেই প্রথম পলিটিক্যাল প্ল্যানার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ মোদি-শাহের সঙ্গে কয়েক প্রস্থ কথাও হয়েছে তাঁর৷ আলোচনা হয়েছে আসন্ন লোকসভার প্রচারের ব্লু-প্রিন্ট নিয়ে৷ ২০১৪-র আগে ঠিক যেভাবে বিজেপিকে চালিত করেছিলেন প্রশান্ত, সেভাবেই তাঁকে এবারও কাজে লাগাতে চাইছেন পদ্ম শিবিরের শীর্ষ নেতারা৷ এখনও কান পাতলে শোনা যায়, বিজেপির সংগঠনকে হাতের তালুর মতো চেনেন প্রশান্ত৷ ২০১৪-তে তাঁর সাজানো ছকেই প্রতি আসনে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিল দল৷ কোন আসনে কোন প্রার্থীকে দাঁড় করানো হবে, প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদির প্রচার কেমন হবে, দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের প্রচারের রূপরেখা কী হবে, কোন ইস্যুতে বক্তৃতা দেবেন নেতারা ইত্যাদি সমস্ত বিষয়েই নাকি কাজ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিম, ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি৷ ফলও মিলেছিল হাতেনাতে৷

Advertisement

[বিতর্কের মাঝে ‘সেক্রেড গেম’ ইস্যুতে মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী]

তবে লোকসভার পরেই প্রশান্তের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল মোদি-শাহের৷ এরপর বিজেপি ক্যাম্প ছেড়ে বিহারে লালু-নিতীশের হাত ধরেছিলেন প্রশান্ত কিশোর৷ সেখানেও মিলেছিল সাফল্য৷ তাঁর পরিকল্পনা মাফিক ক্যাম্পেন চালিয়ে বিজেপিকে ধরাশায়ী করেছিল আরজেডি-জেডিইউয়ের মহাজোট৷ কিন্তু সেসব এখন অতীত৷ প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বিজেপির পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন হওয়ার বিষয়টাকে মোটেই আশ্চর্যের বলছে না রাজনৈতিক মহল৷ তাঁদের মতে, এটা খুবই স্বাভাবিক৷ কারণ, মাত্র চার বছরের শাসনকালেই কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বিরোধীরা৷ তারপরে কাঁধের উপরে নিঃশ্বাস ফেলছে মহাজোটের আশঙ্কা৷ এমনকী গত কয়েকটি উপ-নির্বাচনেও লজ্জাজনক ফলাফল করেছে মোদি-শাহের নেতৃত্বাধীন দল৷ এমন পরিস্থিতিতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোরের মাস্টারস্ট্রোকই একমাত্র রক্ষা করতে পারে গেরুয়া শিবিরকে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ