Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রশান্ত কিশোর

নেপথ্যে প্রশান্ত কিশোর, এবার বিহারে জোট জটে বিজেপি

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ফের নীতীশ কুমারকে কাঠগড়ায় তুললেন পিকে।

Prashant Kishor says JD(U) should get larger share of seats
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:December 30, 2019 2:19 pm
  • Updated:December 30, 2019 2:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনআরসি-সিএএ ইস্যুতে বিরোধিতা চলছেই। এরই মধ্যে বিজেপির উপর চাপ বাড়াতে নতুন কৌশল প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor)। বিহারে জোটসঙ্গী বিজেপির উপর বেশি আসন ছাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা শুরু করল জেডিইউ (Janata Dal (United))। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে লোকসভার তুলনায় অনেক বেশি আসনের দাবিতে সরব হলেন খোদ পিকে। তাঁর দাবি, লোকসভায় যে ফর্মুলাই মানা হয়ে থাক, বিধানসভায় ১:১.৪ আসন অনুপাতে ভাগ হওয়া উচিত।

গত লোকসভা নির্বাচনে জেডিইউ এবং বিজেপি ১:১ অনুপাতে আসন ভাগ করে নিয়েছিল। ৪০ আসন বিশিষ্ট বিহার লোকসভা নির্বাচনে জেডিইউ ১৭টি এবং বিজেপি ১৭টি আসনে লড়াই করে। বাকি ৬টি আসন ছাড়া হয় রামবিলাস পাসোয়ানের এলজেপিকে। প্রশান্ত কিশোর চাইছেন, লোকসভায় যা হয়েছে, তা ভুলে গিয়ে বিধানসভায় নতুন সমীকরণে আসন বণ্টন করতে। বিধানসভায় যেহেতু এনডিএ নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে লড়াই করতে চলেছে, তাই জেডিইউয়ের বেশি আসন পাওয়া উচিত বলেই মনে করছেন প্রশান্ত।

Advertisement

Prashant-Kishor-joins-JD

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিজের টুইটার সমীক্ষায় গোহারা হারলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান]

তাঁর দাবি অনুযায়ী, বিজেপিকে ১:১.৪ অনুপাতে আসন ছাড়তে হবে। সেক্ষেত্রে বিজেপি পাঁচটি আসনে লড়লে জেডিইউকে ছাড়তে হবে ৭টি আসন। যদিও, জেডিইউয়ের অন্য কোনও নেতা এখনও প্রশান্ত কিশোরের এই দাবির স্বপক্ষে মুখ খোলেননি। তাঁরা আপাতত আসন বণ্টনের বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বের উপরই ছেড়ে দিতে চাইছেন। 

[আরও পড়ুন: নতুন রূপে সেজেছে বুরারি হাউস, দিল্লির ‘ভৌতিক’ বাড়ি এখন ডায়াগনোস্টিক্স সেন্টার]

প্রশান্ত কিশোর শুরু থেকেই এনআরসি-সিএএ-র বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে আসছেন। সোমবার আরও একবার সিএএ ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। এবার তাঁর টার্গেট ছিলেন খোদ নিজেরই দলের সভাপতি তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। প্রশান্তের দাবি, জেডিইউ শুরু থেকেই এনআরসি এবং সিএএ-র বিরোধী। এই দুটি কর্মসূচি একসঙ্গে হলে সেটা শুধু ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন হবে তাই নয়, একই সঙ্গে শ্রেণিবৈষম্যকেও উসকানি দেবে। সংসদেও এই বিলের প্রথম বিরোধিতা করে তাঁর দল। কিন্তু, কোন পরিস্থিতিতে নীতীশ বিলটিকে সমর্থন করার নির্দেশ দিলেন, সেটা তিনিই বলতে পারবেন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ