সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশে CAA বিরোধী আন্দোলনে আক্রান্ত ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্য কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশি অত্যাচার দেখে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান প্রিয়াঙ্কা। তাঁর কথায়, “নির্বিচারে পুলিশ প্রতিবাদীদের উপর চড়াও হয়েছে। চারিদিকে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে।”
দিল্লি থেকে ফেরার পথে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে একাধিক এলাকায় যান প্রিয়াঙ্কা। আন্দোলনে অংশ নিয়ে আক্রান্ত হওয়া ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। শোনেন, তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথাও। প্রথমেই তিনি মৌলানা আসাদ হুসেনির সঙ্গে দেখা করেন। মীনাক্ষি চকে তিনি একটি মাদ্রাসা চালান। CAA বিরোধী আন্দোলনে তাঁর মাদ্রাসার এলাকাতেও অশান্তি ছড়িয়েছিল। পুলিশ সেসময় মাদ্রাসায় ঢুকে অনেককে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। রেহাই পায়নি নাবালকরাও। তাঁদের সঙ্গে দেখা করার পর প্রিয়াঙ্কা বলেন, “আমি মৌলানা আসাদ হুসেনির সঙ্গে দেখা করেছি। পুলিশ ওঁর উপর নির্মম অত্যাচার করেছে। মাদ্রাসা থেকে নাবালকদের পর্যন্ত তুলে নিয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ ছাড়া পেলেও অনেকেই এখনও জেলে রয়েছে।” CAA বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন নূর মহম্মদ। এদিন তাঁর স্ত্রী ও দেড় বছরের কন্যাসন্তানের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পাশাপাশি, এদিন তিনি রুকাইয়ার সঙ্গেও দেখা করেন। CAA বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলের কাছে স্মারকলিপি জমা করেছিলেন। এরপরই রুকাইয়ার বাড়িতে ঢুকে তছনছ করে দেয় পুলিশ।
[আরও পড়ুন : কোটায় শিশুমৃত্যু নিয়ে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কংগ্রেসে, গেহলটকে তোপ শচীন পাইলটের]
মুজফফরনগর কংগ্রেসেরে জেলা প্রেসিডেন্ট হরেন্দ্র ত্যাগী বলেন, “প্রিয়াঙ্কা গান্ধী জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশে যেখানে-যেখানে আন্দোলনকারীরা আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে তিনি যাবেন। প্রত্যেকের পাশে দাঁড়াবেন কংগ্রেস কর্মীরা।” এদিনও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন কংগ্রেস নেত্রী। প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ, “নির্মমভাবে অত্যাচার করছে পুলিশ। কার্যত ভয়ের আবহ তৈরি করছে তারা। মানুষ ভয়ে ভয়ে থাকছেন।”