Advertisement
Advertisement
Sutlej-Yamuna Link canal

হরিয়ানাকে জল দিতে বাধ্য করলে পাঞ্জাবে আগুন জ্বলবে, হুঁশিয়ারি অমরিন্দর সিংয়ের

এর ফলে দেশের নিরাপত্তা নষ্ট হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Punjab will burn if forced to share water with Haryana, says Amarinder
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:August 19, 2020 6:15 pm
  • Updated:August 19, 2020 6:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটিয়ে দুই রাজ্যের মধ্যে সমঝোতা করাতে বলেছিল। সেই নির্দেশ মেনে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনায় বসেছিলেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। কিন্তু, সেখানে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh) শতদ্রু-যমুনা লিংক (SYL) ক্যানেল করে হরিয়ানাকে জল দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেছেন বলে জানা গেল।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার হওয়া ওই বৈঠকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দেন এই ক্যানেল তৈরি করে হরিয়ানা ও রাজস্থানকে জল দিতে নারাজ তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শতদ্রু-যমুনা লিংক ক্যানেল তৈরি করে হরিয়ানাকে জল সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত পাঞ্জাবের মানুষ মেনে নেবে না। কেন্দ্র যদি এই বিষয়ে চাপ দেয় তাহলে গোটা পাঞ্জাবে আগুন জ্বলে উঠবে। যার ফলে দেশের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারে। এর প্রভাব পড়বে হরিয়ানা এবং রাজস্থানেও।’

[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে তবলিঘি জামাত প্রধান মৌলানা সাদ, একাধিক স্থানে অভিযান ED’র]

খালিস্তানি আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এমনিতেই খালিস্তানি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষদের উসকে দিয়ে ক্রমাগত ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। শিখ ফর জাস্টিস (SFJ) নামে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের মাধ্যমে পাঞ্জাবকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। এর মাঝে এই ক্যানেল করে হরিয়ানা ও রাজস্থানকে জল সরবরাহ করা হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। অস্থির হয়ে উঠবে গোটা রাজ্য। যার ফলে জাতীয় নিরাপত্তা সংকটে পড়তে পারে।’

অন্যদিকে বৈঠকের পর এ প্রসঙ্গে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার বলেন, ‘ওই ক্যানেল তৈরি হওয়ার বিষয়ে আমরা আগের অবস্থানেই স্থির ছিলাম। সুপ্রিম কোর্টও তাই বলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। চণ্ডীগড়ে ফের একটি বৈঠক করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে এই ক্যানেল নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পরেই শিরোমণি অকালি দলের তরফে পাঞ্জাবজুড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিস্থিতির চাপে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে আদালতে মামলা চলছিল। গত ২৮ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকারকে দুই রাজ্যের মধ্যে মধ্যস্থতা করে বিষয়টি মেটানোর নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

[আরও পড়ুন: দলিত হওয়ার ‘সাজা’! সরকারি স্কুলে তেরঙ্গা উত্তোলন করতে দেওয়া হল না পঞ্চায়েত প্রধানকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ