Advertisement
Advertisement

Breaking News

Prashant Kishor

‘এবারও অসফল হলে ব্রেক নিন রাহুল’, পরিবারবাদ নিয়েও কংগ্রেসকে সতর্ক করলেন পিকে

'কোনওরকম সাফল্য ছাড়াই ১০ বছর ধরে একই কাজ করে চলেছেন রাহুল', মন্তব্য পিকের।

Rahul Gandhi should consider stepping back, says Prashant Kishor
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:April 7, 2024 8:44 pm
  • Updated:April 7, 2024 8:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১০ বছর ধরে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের জমি শক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবারের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস (Congress) যদি আশানুরূপ ফল করতে না পারে সেক্ষেত্রে কয়েক কদম পিছিয়ে যাওয়া উচিত রাহুলের। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় রাজনীতিতে রাহুলের অবস্থান প্রসঙ্গে এমনটাই জানালেন, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। তাঁর দাবি, গত ১০ বছর ধরে দল চালাচ্ছেন রাহুল। তবে নিজের ব্যর্থতা সত্ত্বেও নিজে সরে যেতে বা দলের দায়িত্ব অন্য কারও হাতে তুলে দিতে অক্ষম তিনি। একইসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘কংগ্রেসের এহেন আচরণ গণতন্ত্র বিরোধী।’

প্রশান্ত কিশোরের কথায়, “আপনি যখন কোনও সাফল্য ছাড়া ১০ বছর ধরে একই কাজ করছেন তাহলে আপনার উচিত এবার একটি ব্রেক নেওয়া। এটা দোষের কিছু নয়। আপনার উচিত আগামী ৫ বছরের জন্য অন্য কারও হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া।” এ প্রসঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ওঁর মাও এমনটাই করেছিলেন। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর ১৯৯১ সালে নরসিমা রাওয়ের হাতে দায়িত্বভার তুলে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তাঁর দাবি, “বিশ্বজুড়ে ভালো নেতারা জানেন তাঁদের খামতি কোথায় এবং সেই খামতি পূরণের জন্য তারা সক্রিয় থাকেন। রাহুল গান্ধীও সবকিছু জানেন। তবে তিনি যদি সাহয্যের প্রয়োজন বোধ না করেন তবে কে তাঁকে সাহয্য করবে। উনি মনে করেন ওঁর এমন ব্যক্তির প্রয়োজন যিনি রাহুল যা সঠিক বলে মনে করেন সেটাই কার্যকর করবেন। এটা ঠিক নয়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: মহিলাকে অর্ধনগ্ন করে ঘোরানো হল পাঞ্জাবের গ্রামে! ‘তালিবানি শাসন’ আপকে তোপ বিজেপির]

এ ছাড়াও দলের সভাপতি পদ থেকে রাহুলের ইস্তফার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “২০১৯ সালে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের বিপর্যয়ের পর সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল। জানিয়েছিলেন, নিজে ইস্তফা দিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেবেন। তবে কার্যক্ষেত্রে তেমনটি হয়নি। বহু কংগ্রেস নেতা স্বীকার করেন দলে তারা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। যতক্ষণ না এক্স, ওয়াই, জেডের অনুমতি মিলছে।” সাক্ষাৎকারে উঠে আসে পরিবারবাদের প্রসঙ্গও। পিকের কথায়, কংগ্রেসের ব্যর্থতার পিছনে পরিবারবাদও নিশ্চিতভাবেই একটি বড় বিষয়। এক্ষেত্রে আপনার দলের নেতারা হয়তো আপনাকে মেনে নিয়েছেন কিন্তু উত্তারাধিকারের রাজনীতি মানুষের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিজেপির এই সমস্যা নেই বলেই জানান পিকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বিচারপতিরা নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ হোন’, চন্দ্রচূড়ের বার্তা কি অভিজিতের প্রতি?]

তবে ব্যর্থতার পাশাপাশি কংগ্রেসের মতো শতাব্দী প্রাচীন দলের ভিত যে অনেকখানি গভীরে সে কথা স্মরণ করিয়ে পিকে জানান, “কংগ্রেসকে শুধু একটি দল হিসেবে দেখা উচিত নয়। এরা দেশের যে অংশে প্রতিনিধিত্ব করে তাকে কখনও শেষ করা সম্ভব নয়। নিজের ইতিহাসে কংগ্রেস একাধিকবার নিজেকে বিকশিত করেছে ও পুনর্জন্ম নিয়েছে।” উদাহরণ দিয়ে পিকে বলেন, শেষবার এমনটা ঘটেছিল যখন সোনিয়া গান্ধী দায়িত্বে আসেন এবং ২০০৪ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় ফেরার রণকৌশল তৈরি করেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ