Advertisement
Advertisement
রজনীকান্ত

বারাণসীতে মোদির বিরুদ্ধে নামছেন থালাইভা, ভোটের মুখে ঘোষণা রজনীর

কেন এমন সিদ্ধান্ত?

Rajnikant to fight against PM Modi in varanasi in upcoming LS Polls
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 1, 2019 9:15 am
  • Updated:April 17, 2019 1:42 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আগে রীতিমতো চমকে দিলেন রজনীকান্ত। আগে জানিয়েছিলেন, এ বছর লোকসভা ভোটে তিনি বা তাঁর দল কেউই ভোটে লড়বে না। কিন্তু প্রথম দফার ভোটের দশদিন আগে একেবারে ইউ টার্ন নিলেন রজনী। জানিয়ে দিলেন এবারেই নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। আর লড়ছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে ওয়ানড় থেকে রাহুলের বিরুদ্ধেও লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন থালাইভা।

থালাইভার কথায়, “আমরা প্রধানমন্ত্রীকে গোটা দেশের চৌকিদারির দায়িত্ব দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা পালন না করে, শুধু মুষ্টিমেয় কয়েক জনের স্বার্থ রক্ষা করছেন। তিনি যেভাবে গোটা দেশকে চৌকিদার বানানোর পরিকল্পনা করছেন, তাতে আমরা অস্তিত্বের সংকটে ভুগছি। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে, এই দেশে চৌকিদার না হলে বাস করা যাবে না। আমারও দুই একবার মনে হয়েছে, অভিনয় ছেড়ে চৌকিদারি শুরু করি।”

Advertisement

প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগলেও বিরোধীদের সঙ্গেও যে তিনি নেই তাও স্পষ্ট করেছেন রজনী। তাঁর দাবি, “বিরোধীরা নিজেদেরই বিশ্বাস করতে পারে না। ওরা জিতলে একেক দিন একেক জন প্রধানমন্ত্রী হবেন। তাঁর চেয়ে আমার তৈরি চতুর্থ ফ্রন্টকে ভোট দিন।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশপাশি, কেরলের ওয়ানড় থেকে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও লড়াই করার ইঙ্গিত দিয়েছেন থালাইভা।

Advertisement

কিন্তু কেন অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত? থালাইভা বলছেন, “সম্প্রতি আমার ছবির জনপ্রিয়তা দ্রুত হারে কমছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারছি, আগামী দিনে অন্য পেশায় যাওয়া প্রয়োজন। তাই, রাজনীতিকেই বেছে নিয়েছি। প্রথমে ভেবেছিলাম এ বছর লোকসভা ভোটে লড়ব না। তারপর দেখলাম, মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতলে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া যেতে পারে। আর সেকারণেই চটজলদি সিদ্ধান্ত বদল।”

থালাইভার এই সিদ্ধান্তে হতবাক অনেকেই। যেদিন রজনী এতবড় সিদ্ধান্তটা নিলেন, সেদিনের তারিখটার দিকে দেখুন। সারা দুনিয়ায় এই একটাই দিন রেখে দেওয়া আছে নিছক মজা করার জন্য। দিনটার অস্থিমজ্জাতেই যে লুকিয়ে আছে এ কথা। কত জোক এল গেল, কত জোকই আসবে। রজনীকে নিয়ে মজাও তেমনই থেকে যাবে। কিন্তু পয়লা এপ্রিল আর তো কাল থাকবে না। এই নিছক রসিকতা করার লাইসেন্সটুকুও তাই থাকবে না। তাই না হয় একটু মশকরা আজ মেনেই নিলেন। বরং ভাবুন, রজনীকান্ত ভাগ্যিস এই বেফাঁস কথাগুলি বলেননি, বললে না জানা কত বিতর্ক হত, আবার শুরু হত কচকচানি। পয়লা এপ্রিল স্রেফ মজা করার জন্য এই পোস্ট। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। দয়া করে কেউ অন্যভাবে নেবেন না। এই মজাটুকু স্রেফ ভাল থাকার আর SHARE করে নেওয়ার জন্যই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ