Advertisement
Advertisement

Breaking News

নার্সের ছদ্মবেশে নেপালে পালাতে ব্যর্থ, মুম্বই থেকে ‘গ্রেপ্তার’ হানিপ্রীত

নাটকে ইতি, পুলিশের জালে ধর্ষক বাবার 'শয্যাসঙ্গিনী'।

Ram Rahim’s ‘daughter’ Honeypreet lands in police net
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 5, 2017 3:10 am
  • Updated:September 29, 2019 4:25 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লুক আউট নোটিস জারির পর অবশেষে সাফল্য। মুম্বই পুলিশের হাতে ‘গ্রেপ্তার’ রাম রহিম সিংয়ের পালিত কন্যা হানিপ্রীত। মুম্বই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে ‘গ্রেপ্তার’ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। নার্সের ছদ্মবেশে তিনি দেশ থেকে পালাতে চাইছিলেন। যদিও হরিয়ানা পুলিশের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু স্বীকার করা হয়নি। মুখে কুলুপ এঁটেছে মুম্বই পুলিশও। কিন্তু একাধিক সর্বভারতীয় দৈনিকের দাবি, ধর্ষক গুরমিতের অভিযুক্ত শয্যাসঙ্গিনী হানিপ্রীতকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তিনি নেপালে পালাতে চাইছিলেন বলে জানতে পারেন পুলিশের গোয়েন্দারা।

[‘পালিতা কন্যা’ হানিপ্রীতের সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্ক রয়েছে রাম রহিমের!]

honeypreet_web

Advertisement

গুরমিতের এই দত্তক কন্যা হানিপ্রীতকে নিয়ে প্রচুর বিতর্কিত তথ্য উঠে এসেছে গত কয়েক দিনে। পুলিশ জানতে পেরেছে, দুই মহিলাকে ধর্ষণের দোষে আদালত গুরমিতকে শাস্তি দিচ্ছে শুনেই তাকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে হানিপ্রীত। তাঁর বিরুদ্ধে হরিয়ানা পুলিশ লুকআউট নোটিস জারি করে। হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে রাম রহিমের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর স্বামী। অভিযোগ, তিনি দুজনকে একসঙ্গে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন রাম রহিমের গোপন গুহায়। অবশ্য ‘বাবা’র মতো মেয়েও একযোগে আদালতকে আরজি জানান, তাদের একসঙ্গে থাকতে দেওয়া হোক। আইনজীবীর মাধ্যমে হানিপ্রীত একটি পিটিশনও জমা দেন, যদিও আদালত সেই দাবি গ্রাহ্য করেনি। শুধু তাই নয়, সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের কাছে ‘বাবা’ও আরজি জানায়, ‘হানিপ্রীতকে আমার সঙ্গে থাকতে দিন। ও আমার বিশেষ খেয়াল রাখে। ও আমাকে বিশেষ ম্যাসাজ করে দেয়। ফিজিওথেরাপিতে ওর দখল রয়েছে। ও ম্যাসাজ না করে দিলে আমি মরে যাব।’

Advertisement

[হানিপ্রীত ম্যাসাজ না করে দিলে আমি মরে যাব, আর্তি ধর্ষক বাবার]

অন্যদিকে, হানিপ্রীতকে আশ্রয় দেওয়ায় পঞ্চকুলার এক ঔষধ ব্যবসায়ীকে আটক করল বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-এর গোয়েন্দারা। গ্রেপ্তারির দিন ‘বাবা’ গুরমিত রাম রহিম সিংকে নিয়ে পালানোর ছকের তদন্ত করছে এই দলটি। অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছে ডেরা সাচা সৌদার সদস্য আদিত্য ইনসান ও সুরিন্দর দামন ইনসান। ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে শুধু হানিপ্রীতকে আশ্রয়ই দেওয়ার অভিযোগই নয়, রয়েছে অন্য অভিযোগও। গুরমিতকে গ্রেপ্তারির দিন বাবাকে নিয়ে পালানোর প্রস্তুতিতে হানিপ্রীতকে যাবতীয় সাহায্য করেছিল সে। তদন্তকারী দলের ধারণা, ধর্ষক বাবাজিকে গ্রেপ্তারির পর যে ব্যাপক অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, তাতে অস্ত্রশস্ত্র জুগিয়েছিল এই ঔষধ ব্যবসায়ীই। তাই পুলিশ জেরার জন্য তুলে নিয়ে গিয়েছে তাকে। জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি, ২৫ আগস্ট (গুরমিতকে যেদিন গ্রেপ্তার করা হয়) এর আগে তার গতিবিধির উপরও নজরদারি চালাবে তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তির মোবাইল ফোনটিও পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার সিরসা থানায় ডেরা অনুগামীরা তাঁদের কাছে থাকা অস্ত্রশস্ত্র জমা দিয়েছেন। তবে অস্ত্রগুলি সবই লাইসেন্সপ্রাপ্ত বলে সিরসা থানার পুলিশ জানিয়েছে। হাউস অফিসার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, “দু’দিন আগে ডেরা অনুগামীদের অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশ মেনে ডেরা অনুগামীরা অস্ত্রশস্ত্র জমা দিয়েছেন।”

honeypreet-2

[ব্রিকসে মুখ পুড়ল চিন-পাকিস্তানের, সন্ত্রাসবাদের নিন্দায় এককাট্টা সদস্যরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ