Advertisement
Advertisement

Breaking News

মৌলবাদী সন্ত্রাস হামলার কায়দায় জামিয়ায় চলল গুলি

ফেসবুকে বদলার হুমকি, ‘জঙ্গি ধাঁচে’ জামিয়ায় গুলি উগ্র হিন্দুত্ববাদীর

'শেষযাত্রায় গেরুয়ায় মুড়িয়ে দিও', পোস্টে দাবি হামলাকারীর।

Rambhakt Gopal was on FaceBook live moments before he fired.
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 30, 2020 7:21 pm
  • Updated:January 30, 2020 8:41 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামলার আগে ফেসবুকে বদলার পোস্ট। লাইভ টেলিকাস্টে বন্দুক উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি। শেষপর্যন্ত ‘ইয়ে লো আজাদি’ বার্তা দিয়ে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া। সেই হামলারও লাইভ হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিয়ার পড়ুয়াদের উপর হামলার কায়দা দেখে নড়চড়ে বসেছে পুলিশ- প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, কাউকে টার্গেট করে নয়। বরং স্রেফ ভয় দেখাতেই গুলি চালিয়েছিল ওই যুবক। কিন্তু বেলা যত গড়িয়েছে সামনে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা তদন্তের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে।

প্রাথমিকভাবে হামলার কায়দা ঘিরেই উঠছে প্রশ্ন। ওয়াকিবহাল মহলের কথায়, ইউরোপের একাধিক দেশে সন্ত্রাসবাদি হামলার আগে মৌলবাদীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে। আবার হামলার সময় তা লাইভ করতেও দেখা যেত। এবার সেই একই কায়দায় জামিয়ার পড়ুয়াদের উপর চড়াও হল অভিযুক্ত। হামলার ঠিক আগে সন্ত্রাসবাদিদের মুখে শোনা যেত ধর্মীয় বার্তা। এদিন হামলাকারীর গলায় শোনা গেল, “আজাদি চাই? এই নে আজাদি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন : ফের পথ দেখাল তেলেঙ্গানা! ৬৬ দিনের মধ্যে ফাঁসির সাজা তিন ধর্ষককে]

রামভক্ত গোপাল নামে একটি ফেসবুক প্রোফাইল রয়েছে হামলাকারীর। সেখানেই একের পর এক পোস্ট করে বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে গোপাল। কখনও লাইভ পোস্টে বলেছে, আই সাপোর্ট এনআরসি। কখনও আবার পোস্টে লিখেছেন, “শাহিন ভাগ, খেল খতম।” এদিনও জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা থেকে লাইভ করার সময় তার গলায় একই হুঁশিয়ারি শোনা গিয়েছে।এমনকী জামিয়া চত্বরে আসার আগে ফেসবুকে শেষযাত্রার কথা পোস্ট করে এসেছিল গোপাল। পোস্টে সে লেখে, “আমার শেষযাত্রায় গেরুয়ায় মুড়ে নিয়ে যেও। আর জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিও।” তার এধরণের পোস্ট দেখে গোপাল উগ্র হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাসী ছিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এবং এর পিছনে বিজেপি নেতাদের ক্রমাগত উসকানিমূলক মন্তব্যের প্রভাব রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলেও মনে করছে পুলিশ। পুলিশের দাবি হামলাকারী নাবালক। পরে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করে দেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন: ফের অর্ণবকে ‘কামড়’ কুণাল কামরার, সোশ্যাল মিডিয়ায় কটাক্ষ কন্ডোম প্রস্তুতকারী সংস্থারও

এ দিন গোপালের গুলিতে জখম হন শাদাব ফারুক নামের এক ছাত্র। গুলি লাগে তাঁর বাঁ হাতে। কাশ্মীরি এই যুবককে প্রথমে ‘হোলি ফ্যামিলি’ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ