সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি হোমেই যৌন নিগ্রহের শিকার ধর্ষিতারা। অন্তত ১০ জন আশ্রিতার উপর দিনের পর দিন অকথ্য অত্যাচার করার অভিযোগ উঠল পশ্চিম দিল্লির সরকারি হোমের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। হোম থেকে নাবালিকাদের যৌনপল্লিতে পাচার করার মতো মারাত্মক অভিযোগও উঠেছে।
[যুবকদের আইএসে যোগ দিতে মদত দিচ্ছে পুলিশ: দিগ্বিজয় সিং]
একাধিক সর্বভারতীয় সংস্থার খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই আশ্রিতা অভিযোগ দায়ের করায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ধর্ষণ, নিগ্রহের শিকার হয়েছে এমন নাবালিকাদেরই রাখা হত ওই হোমে। যৌনপল্লি থেকেও উদ্ধার করেও রাখা হত সেখানে। অভিযোগ, তাদের উপরই অকথ্য অত্যাচার চালাত ওই কর্মী। যৌননিগ্রহ থেকে শুরু করে অমানবিক শারীরিক অত্যাচার চালানো হত। ঠিকমতো খাবারও দেওয়া হত না। যে দুই আশ্রিতা অভিযোগ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে একজন বেশ কয়েকদিন ধরে না খেয়ে ছিল বলে জানা গিয়েছে।
[‘গোমাংস খাইনি’, ভাইরাল ভিডিও নিয়ে সাফাই কাজলের]
এমনকী, নাবালিকাদের জোর করে কোনও একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হত বলে জানিয়েছে ওই আশ্রিতারা। তাদের কথা শুনে পুলিশের অনুমান, অক্সিটোসিন নামে কোনও হরমোন ইঞ্জেকশন দেওয়া হত নাবালিকাদের। যাতে তাদের শরীর সময়ের আগেই বেড়ে উঠতে পারে। আর তাহলেই আশ্রিতাদের বিক্রি করে দেওয়া হত যৌনপল্লিতে।
এপ্রিল মাসের ৮ তারিখ ওই সরকারি হোম পরিদর্শনে যান দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। পুরো বিষয়টি জানিয়ে দিল্লি পুলিশের কমিশনার অমূল্য পটনায়েককে চিঠি লিখেছেন তিনি। পুরো ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
[সরকারি অর্থের অপচয় রুখতে নজিরবিহীন উদ্যোগ যোগী আদিত্যনাথের]