সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে রেপো রেট (Repo Rate) ও রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন এ কথা ঘোষণা করলেন রিজার্ভ ব্যাংকের গর্ভনর তথা মনিটরি পলিসি কমিটির (MPC) চেয়্যারম্যান শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দফায়-দফায় মোট ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছিল এই রেপো রেট। দেশের অর্থনীতিতে লকডাউনের বিরূপ প্রভাবের কথা স্বীকার করে নিয়েও এবার আর এই হার কমানোর পথে হাঁটল না আরবিআই। প্রসঙ্গত, দেশের সামগ্রিক আর্থিক পরিস্থিতি ও রেপো রেট নিয়ে গত তিনদিন ধরে আর্থিক কমিটির বৈঠক চলছিল।
প্রসঙ্গত, বাজারে নগদের জোগান বাড়াতে ও অর্থনীতিকে সচল করতে এর আগে বেশ কয়েক দফা রেপো রেট কমিয়েছিল আরবিআই (RBI)। বর্তমানে রেপো রেট ৪ শতাংশ। ও রিভার্স রেপো রেট ৩.৩৫ শতাংশ। তবে এবার আর সেই পথে হাঁটেনি তারা। এই বিষয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, “অনেক আলাপ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এবার রেপো রেটে কোনও পরিবর্তন করা হবে না।”
কিন্তু কি এই রেপো রেট? রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোকে ঋণ দেয়, তা হল রেপো রেট। রেপো রেট কমানোর অর্থ সুদের হার কমাতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলোকে উৎসাহিত করা। যাতে মানুষ আরও ঋণ নেয় ও বাজারে টাকার জোগান বাড়ে। তবে এবার আর সেই পথে হাঁটল না রিজার্ভ ব্যাংক।
[আরও পড়ুন : ইতিহাস গড়ল ভারতীয় সেনা, প্রথমবার জম্মু-কাশ্মীরে লাইন অব কন্ট্রোলে নিরাপত্তার দায়িত্বে মহিলারা]
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফিতির জেরে নাজেহাল আমজনতা। তবে আরবিআই গভর্নরের আশা, চলতি আর্থিক বছরের দ্বিতীয়ার্ধে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে। মহামারী আবহে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। তাঁর কথায়, “দেশের গড় অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অর্থাৎ জিডিপির (GDP) অবস্থাও খুব একটা ভাল নয়”। শক্তিকান্ত দাসের আশঙ্কা, “২০২১-২২ সালেও জিডিপির অবস্থায় খুব বেশি পরিবর্তন আসবে না”।
[আরও পড়ুন :ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকেছিল চিনারা, স্বীকার করেও ওয়েবসাইট থেকে নথি সরাল প্রতিরক্ষামন্ত্রক]
পাশাপাশি ভারতে যেভাবে করোনা (Corona Virus) সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন আরবিআইয়ের সর্বময় কর্তা। শক্তিকান্ত দাস বলেন, “করোনার ফলে সারা বিশ্বেই অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি হ্রাস পাচ্ছে। এদিকে করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন (Lockdown) করা হচ্ছে, তার ফলেও ভারতে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্রমশই কমে যাচ্ছে।