সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA বিক্ষোভ চলাকালীন সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে নোটিস এসেছিল। সেই নোটিসের প্রাপ্তি এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্টের দায় স্বীকার করল উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের কয়েকটি মুসলিম পরিবার। শুধু তাই নয়, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি বাবদ মোটা অঙ্কের জরিমানাও জমা দিল তাঁরা। বুলন্দশহর পুলিশ সূত্রের খবর, জেলায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে হিংসার দায় স্বীকার করে ৬ লক্ষ টাকারও বেশি ক্ষতিপূরণ প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছে কয়েকটি মুসলিম পরিবার।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় হিংসাত্মক বিক্ষোভে প্রচুর পরিমাণ সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরপ্রদেশে। যোগীরাজ্যে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যাঁদের সনাক্ত করা গিয়েছে তাঁদের নোটিসও দিয়েছে প্রশাসন। বুলন্দশহরেও বেশ কিছু পরিবারকে নোটিস পাঠানো হয়। শুক্রবারের নমাজ শেষে বুলন্দশহরের মুসলিম পরিবারগুলির একটি প্রতিনিধিদল স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং ৬ লক্ষ ২৭ হাজার টাকার বেশি ক্ষতিপূরণের চেক তাঁদের হাতে তুলে দেন। বুলন্দশহরের পাশাপাশি মুজফ্ফরপুরেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। ক্ষতিপূরণ না দিলেও, বিক্ষোভে হিংসার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন মুজফ্ফরপুরের ইমাম।
[আরও পড়ুন: উসকানিমূলক পোস্ট করে উত্তরপ্রদেশে গ্রেপ্তার ১২৪ জন, নজরে আরও ২০ হাজার প্রোফাইল ]
বুলন্দশহর পুলিশের তরফে যে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, হাজি আক্রম আলি নামের এক কাউন্সিলর জানিয়েছেন, হিংসার ঘটনার জন্য তাঁরা অনুতপ্ত। এবং দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ দিতে চান। পুলিশের হাতে যে টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে, তা এলাকার সমস্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে থেকে তোলা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ট্রেন-বাসে আগুন, ভাঙচুর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট এসব করাটা আর যাই হোক, প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। সেটা বুঝতে পেরেই অনুতপ্ত এলাকার মুসলিম সমাজ। উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধী বিক্ষোভে উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকী, পুলিশের গুলিতে ১৬ জনের প্রাণও গিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের উপর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নাগরিকরা যারপরনাই ক্ষুব্ধ। এই পরিস্থিতিতে বুলন্দশহর উলটো ছবি দেখল। ঠিক যেন গান্ধীগিরি।