Advertisement
Advertisement

Breaking News

লকডাউনের মধ্যে স্বস্তি ব্যবসায়ীদের, প্রায় ৫২০০ কোটি টাকার আয়কর ফেরত দিল কেন্দ্র

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলি উপকৃত হয়েছে।

Relief For Small Businesses, Rs 5,204-Crore Income Tax Refunds Issued In 10 Days
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:April 19, 2020 4:05 pm
  • Updated:April 19, 2020 4:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে বন্ধ একাধিক শিল্প। উৎপাদন বন্ধ থাকায় একাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলির অবস্থা শোচনীয়। এই পরিস্থিতিতে তাদের স্বস্তি দিতে বড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর দপ্তর (CBDT)। CBDT জানিয়েছে, প্রায় ৫২০৪ কোটি টাকা আয়কর তারা ফেরত দিয়েছে ৮ লক্ষ ছোট ও মাঝারি সংস্থাকে। এপ্রিলের ৮ তারিখ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই আয়কর ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে সংস্থাগুলি লকডাউনে স্বস্তি পায়। জানা গিয়েছে, এই করের টাকা ফেরত দেওয়ায় লকডাউনের মধ্যে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (MSME) সংস্থাগুলি তাদের কর্মচারীদের বেতন কাটার প্রয়োজন পড়বে না।

সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্স বা CBDT জানিয়েছে, ৮ এপ্রিল কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে আয়কর বিভাগ ৫ লক্ষ টাকা করে প্রায় ১৪ লক্ষ সংস্থাকে ফেরত দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়া ছোট ও মাঝারি করদাতা সংস্থাগুলি এতে উপকৃত হবে। পরবর্তী কালে ৭,৭৬০ কোটি টাকার আয়কর ফেরত দেবে আয়কর বিভাগ। লকডাউনের জেরে বিপুল লোকসানের মুখে সংস্থাগুলি। বাধ্য হয়ে কর্মী ছাঁটাই, বেতন কাটছাঁটের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে কর্পোরেট সংস্থা থেকে শুরু করে ট্রাস্ট, মাঝারি মাপের ব্যবসায়ীক সমিতিগুলিকে। এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বস্তি দিতেই এই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দেশে দ্বিতীয় দফা লকডাউনের মাঝেই সচল হচ্ছে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র, দেখে নিন তালিকা]

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির প্রকোপ থামাতে প্রায় গোটা বিশ্বেই লকডাউন-সহ একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়ছে। ফলে প্রবল ধাক্কা খেয়েছে শিল্প ও উৎপাদন ক্ষেত্র। পরিস্থিতি কতটা গম্ভীর, তা স্পষ্ট করে গত শুক্রবার রাখঢাক না করে RBI-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (IMF) মনে করছে মহা মন্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। ১৯২৯ সালের ‘গ্রেট ডিপ্রেসনের’ চাইতেও পরিস্থিতি খারাপ হতে চলেছে। উপভোক্তারা বিশেষ খরচ করতে চাইছেন না। ফলে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৯ থেকে ৩২ শতাংশ উপভোগ কমে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হার ১.৯ শতাংশে নেমে আসবে। তবে আগামী অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১ সালে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। ওই বছর ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৭.৪ শতাংশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনের জের, ব্যাপক কাটছাঁট রেলকর্মীদের বেতনে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ