Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভোটের আগে নয়া চমক, উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ

বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার নিচে হলে মিলবে সংরক্ষণ৷

Reservation for upper class
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 7, 2019 3:29 pm
  • Updated:May 27, 2020 3:37 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভার আগে বড় চমক। সংরক্ষণের তাস মোদি মন্ত্রিসভার। সবর্ণদের জন্য শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বেনজিরভাবে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া,সাধারণ শ্রেণির যে কেউ এই সুবিধার আওতায় পড়বেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নতুন সিদ্ধান্ত লাগু করতে হলে অবশ্য ভারতীয় সংবিধানের ১৫ এবং ১৬ নম্বর ধারা দু’টি সংশোধন করতে হবে। চলতি অধিবেশনে শেষ দিন মঙ্গলবার। ওই দিনই সংবিধানে সংশোধন আনতে চায় কেন্দ্র। বছরের শুরুতেই এই তোড়জোড় যে লোকসভা ভোটের অঙ্ক মাথায় রেখে, তা বলাই বাহুল্য।  

কুম্ভমেলার নিরাপত্তায় ২০,০০০ ‘নিরামিষাশী’ পুলিশকর্মী

উচ্চবর্ণ অথচ আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য সংবিধান অনুযায়ী পৃথক কোনও সুবিধা ছিল না। তবে প্রস্তাব ছিল বহুদিনের। শুধুমাত্র আর্থিক অস্বচ্ছলতার জন্য অনেক বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে দেশের নানা প্রান্তে কম প্রতিবাদ, বিক্ষোভ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে দাবি আদায়ের রাস্তায় হেঁটেছিলেন সবর্ণরা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে সবর্ণ আন্দোলনে কিছুটা বিপাকে পড়ে বিজেপি৷ এমনিতেই বিজেপির অভিভাবকসম আরএসএস বরাবর দেশের আর্থিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে সংরক্ষণের পক্ষে সরব। তাদের মত, বর্ণ বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে নয়, সংরক্ষণের মাপকাঠি হওয়া উচিত অর্থনীতির ভিত্তিতে। সেই প্রস্তাবেই সবুজ সংকেত দিয়ে লোকসভার আগে এনডিএ সবচেয়ে বড় তাসটি ফেলল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যাঁদের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকা এবং কৃষিজমির পরিমাণ ৫ একর পর্যন্ত, তাঁদের সকলকে নয়া সংরক্ষণের আওতায় আনতে চলেছে মোদি সরকার। সরকারি চাকরির পাশাপাশি শিক্ষা এবং কৃষি ক্ষেত্রেও সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০শতাংশের বেশি সংরক্ষণের নিয়ম নেই। তবে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নয়া সিদ্ধান্তে সংরক্ষণের হার বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬০ শতাংশ। আর তার জন্যেই সংবিধান সংশোধন করে তা কার্যকর করতে মরিয়া মোদি সরকার।

Advertisement

কালো টাকায় লন্ডনে বেনামি সম্পত্তি কিনেছেন রবার্ট বঢরা, দাবি ইডি-র

ইশতেহারে বর্ণের ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিপক্ষে প্রস্তাব রেখেছিল বিজেপি। কিন্তু ঋণ মকুব-সহ সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি জনসংযোগকারী ইস্যুতে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে মোদি অ্যান্ড কোং। জনসমর্থনে ভাঁটার ইঙ্গিত স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, এসব বুঝেই উচ্চবর্ণদের ভোট টানতে এমন ঘোষণা মোদি সরকারের। তবে কেন্দ্রের ঘোষণায় বেশ কিছু প্রশ্নও উঠছে। শুধুমাত্র আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ই কি সুবিধাভোগী হতে চলেছেন, নাকি, অনগ্রসরণ শ্রেণির মানুষজনও এই সংরক্ষণের আওতায় পড়বেন? মঙ্গলবার সংসদে প্রস্তাব পেশ হলে, হয়ত দূর হবে যাবতীয় সংশয়।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ