Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা ভ্যাকসিন

রাশিয়ার ভ্যাকসিন সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য পেয়ে গিয়েছে ভারত, স্বস্তির খবর দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক

ভারতের মাটিতে ভ্যাকসিন তৈরিতে আগ্রহী দুই দেশই।

Russia to collaborate Indian government manufacturing of COVID vaccine

ছবি: প্রতীকী

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 26, 2020 9:19 am
  • Updated:August 26, 2020 11:54 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাশিয়ার সঙ্গে ‘স্পুটনিক ভি’ ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা শুরু হল মঙ্গলবার। অবশ্য বর্তমানে বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, “স্পুটনিক ফাইভ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রাথমিক তথ্য আদান প্রদান হয়েছে। এখন বিশদ তথ্যের অপেক্ষা।”

ভারতে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাসেভ ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসার প্রফেসর কে বিজয়রাঘবন, আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গব এবং কেন্দ্রীয় বায়োটেকনোলজি দফতরের সচিব রেণু স্বরূপের কার্যালয়ে গিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, বৈঠকে রাশিয়া ভ্যাকসিন নিয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে যে আগ্রহী তা বলা হয়েছে এবং স্পুটনিক ফাইভ সংক্রান্ত বহু তথ্যই তারা দিয়েছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কিত যে তথ্য ভারত চাইছে, তার অধিকাংশই দেওয়া হয়নি। ভারতের তরফে রাশিয়াকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সুরক্ষা ও কার্যকারিতা সংক্রান্ত তথ্য জরুরি। মস্কোর ভারতীয় দূতাবাসকেও তথ্য সংগ্রহে কাজে লাগানো হয়েছে। তারা গামালিয়া ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। উল্লেখ্য, রাশিয়ার গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যৌথভাবে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে। অন্য দেশের সঙ্গে ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনার রাস্তা খোলা রাখলেও ভারত নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিনের উপরেই যে জোর দিচ্ছে সেকথা কেন্দ্রের তরফ থেকে আগেই বহুবার স্পষ্ট করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোথায় নরেন্দ্র মোদির বাবার চায়ের দোকান? জানেই না রেল!]

এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে বলরাম ভার্গবও ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ভারতে তিনটি ভ্যাকসিন অ্যাডভ্যান্সড স্টেজে রয়েছে। আরও তিনটি ক্লিনিক্যাল স্টেজে রয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউট-এর ভ্যাকসিনটি তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনটি দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে এবং ক্যাডিলার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায় খুব শীঘ্রই শুরু হবে। এই সবগুলিই দু’-ডোজের ভ্যাকসিন। প্রথম ডোজের ১৪ বা ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়া হবে। এই ১৪ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হল কিনা দেখা হবে।” কবে নাগাদ ভ্যাকসিন আসতে পারে তা নিয়ে এদিন ভার্গব কিছু না বললেও কেন্দ্রের তরফ থেকে চলতি বছরের শেষের দিকেই ভ্যাকসিন আনার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনও চলতি বছরের শেষেই ভারতে ভ্যাকসিন আসার বিষয়ে আশাবাদী বলে মন্তব্যও করেছেন। এদিকে, দেশে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পিছনে যুবারাই দায়ী বলে নানান মহল থেকে যে অভিযোগ উঠছে, সে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ভার্গব বলেন, “যুবারা নাকি বয়স্করা, এটা বলা যাবে না। বরং দায়িত্বজ্ঞানহীন লোকেরাই মহামারী ছড়াচ্ছে বলা যায়।”

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ