Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘নির্দোষ’ কন্ডাক্টরকে ফাঁসাতে ছুরি রেখেছিল পুলিশই, দাবি সিবিআইয়ের

প্রদ্যুম্ন হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস।

Ryan murder case: Police framed conductor, says CBI
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 10, 2017 3:20 am
  • Updated:September 25, 2019 2:45 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিযুক্ত বাস কন্ডাক্টর সম্পূর্ণ নির্দোষ। ষড়যন্ত্র করে প্রদ্যুম্নের পাশে পড়ে থাকা ছুরিটি তাঁর বলে দাবি করে হরিয়ানা পুলিশ। প্রদ্যুম্ন হত্যাকান্ডে নাটকীয় পট পরিবর্তনে এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি জানায়, রহস্য সমাধানের কৃতিত্ব পাওয়ার জন্য কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জাল মামলা সাজায় পুলিশ।

[খুন কেউ একজন হতই, প্রদ্যুম্ন হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি ছাত্রের]

Advertisement

কিছুদিন আগেই হরিয়ানার রায়ান ইন্ট্যারন্যাশনাল স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির এক পড়ুয়া খুন হয়েছিল। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল স্কুলের বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে। যৌন চাহিদা মেটাতেই নাকি ওই শিশুকে খুন করে অভিযুক্ত। এমনটাই দাবি করে পুলিশ। কিন্তু সিবিআই তদন্তের পরই পালটে যায় পট। জানা যায়, ওই কন্ডাক্টর সম্পূর্ণ নির্দোষ। বরং একাদশ শ্রেণির ছাত্রটিকে আড়াল করতেই সুপরিকল্পিতভাবে তাঁকে ফাঁসানো হয়। ছেলেটির বাবা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ ও আইনজীবী। বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যও। পুলিশ প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশেই ছেলেকে বাঁচাতে উদ্যোগী হয় ওই আইনজীবী। কৌশলে গ্রেপ্তার করা হয় কন্ডাক্টরকে। রীতিমতো অত্যাচার করে তার থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য মোতাবেক, ফুটন্ত জলে হাত-পা চেপে ধরা হয় ওই ব্যক্তির। তীব্র যন্ত্রাণার মুখে তিনি বাধ্য হয়ে খুন করেছেন বলে পুলিশকে বয়ান দেন। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা অবশ্য এ স্বীকারোক্তিতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। ফলে তাঁদের তদন্তে প্রকৃত খুনির সন্ধান পাওয়া গেল।

Advertisement

সিবিআই-এর এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, হত্যায় ব্যবহিত ছুরিটি একাদশ শ্রেণির ছাত্রটিই স্কুলে নিয়ে এসেছিল। ওই এলাকার একটি দোকান থেকে অস্ত্রটি কেনে সে। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার ওই দোকানে তদন্তকারীদের নিয়ে যায় অভিযুক্ত পড়ুয়া। ইতিমধ্যে হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে। পরীক্ষা পিছিয়ে দিতেই এই কুকর্ম করে সে। উল্লেখ্য, সিবিআই-এর এই চাঞ্চল্যকর দাবির জবাবে সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি গুরুগ্রামের পুলিশ কমিশনার সন্দীপ খিরওয়ার। যদিও পুলিশকর্মীদের হয়ে তাঁর সাফাই, মাঝপথেই তদন্তের ভার সিবিআই-এর হাতে চলে যায়। ফলে সব দিক খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, প্রদ্যুম্ন যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, তা স্কুল কর্তৃপক্ষকে প্রথম জানায় অভিযুক্ত ছাত্রটিই। প্রভাবশালীর ছেলে হওয়ার কারণেই এতদিন গা ঢাকা দিতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সিবিআই তদন্তে বেরিয়ে আসে সত্যি। কিন্তু যেভাবে নির্দোষ কন্ডাক্টরকে ফাঁসানো হয়েছে তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকে এই ঘটনার মধ্যে আরুষি হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী তদন্তেরও ছায়া পাচ্ছেন।

[চোর কে? জানতে কর্মীদের ‘অগ্নিপরীক্ষা’ নিলেন বিজেপি নেতা!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ