সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে গৃহবন্দি সাংসদ থেকে রাজনীতিবিদ। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অল্পবিস্তর সরব সকলেই। তবে এই লকডাউনে কখনও টু শব্দটি করতে শোনা যায়নি ভোপালের বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরকে (Sadhvi Pragya sing Thakur)। ইতিমধ্যেই তাঁর নামে ‘নিরুদ্দেশ’ পোস্টার দেখতে পাওয়া গেছে খোদ তাঁরই গড় ভোপালে। এই ঘৃণ্য আচরণের জবাব দিতে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। তাতেই সরগরম মধ্যপ্রদেশের রাজনীতি।
মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের (Bhopal) প্রতিটি দেওয়াল জুড়ে নিরুদ্দেশের পোস্টার। শহর জোড়া পোস্টারে লেখা, ভোপালের বাসিন্দারা যখন করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন তখন তাঁদের সাংসদকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। রাজধানীর বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুরের নামে নিখোঁজের নোংরা পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়ায় কংগ্রেসের কর্মীদেরই হাতযশ রয়েছে বলে দাবি করেন বিজেপি নেতারা। এমনকি করোনা আবহেও কংগ্রেস নোংরা রাজনীতির খেলা খেলছে বলে অভিযোগ জানায় গেরুয়া শিবির। বিজেপির মুখপাত্র রাহুল কোঠারি দাবি করেছেন যে, ক্যানসারের চিকিত্সা করাতে বর্তমানে এইমস-এ ভর্তি রয়েছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এই সময় তিনি ভোপালের মানুষের পাশে থাকতে পারছেন না। তবে দলের তরফে কমিউনিটি কিচেন এবং রেশন সরবরাহের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।
[আরও পড়ুন:সংস্কারই মূলমন্ত্র! বর্ষপূর্তিতে ফিরে দেখা দ্বিতীয় মোদি সরকারের ৫ বড় সিদ্ধান্ত]
তবে বিজেপি নেতাদের বক্তব্য থামাতে পারেনি প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমলেশ্বর প্যাটেলকে। গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে তিনি বলেছেন, ‘এবার তো ভোটারদের বোঝা উচিত যে তাঁরা কাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। ভোটে হেরে গেলেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং দিন-রাত ভোপালের মানুষের জন্য কাজ করছেন। কিন্তু যিনি নির্বাচিত প্রতিনিধি, তাঁর দেখা নেই।’ জনসাধারকে সাবধান করে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ভবিষ্যতে এই ধরনের কাউকে জেতাবেন না, যিনি মানুষের কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়াতে পারেন না। এমতাবস্থায় প্রজ্ঞা ঠাকুরকে ফিরে এসে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন তিনি।
[আরও পড়ুন:মে মাসে বাড়তি রেশন পাননি ১৭ কোটি ভারতবাসী! দুই রাজ্যের উপর দায় চাপাল কেন্দ্র]
এই সমালোচনার পরে বিজেপির মুখপাত্র রাহুল কোঠারি পালটা মন্তব্য করে জানান যে, ভোপালে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর যোগান থেকে শুরু করে কমিউনিটি কিচেন, সবকিছুর কাজ চলছে। আর দিগ্বিজয় সিংয়ের কাজ দেখানো শুধুমাত্র রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়। হুজুরের বিজেপি বিধায়ক রামেশ্বর শর্মাও কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তাঁর কথায়, “এটা হল সাধ্বী ও শয়তানের লড়াই। সাধ্বী শরীরিকভাবে অসুস্থ, তাই শয়তানেরও কাজ নেই। তারা সাধ্বীর নামে অপবাদ ছড়াতে চাইছে।” এভাবেই বিজেপি সাংসদের অনুপস্থিতিকে হাতিয়ার করে সরগরম হয়ে উঠেছে গেরুয়া ও হাত শিবিরের লড়াই।