সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাহিনবাগ গুলিকাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়! হামলাকারী কপিল গুজ্জরের পরিবার আপ নয়, BSP সমর্থক। এমনকী ২০১২ সালে কপিলের বাবা গজ সিং বহুজন সমাজবাদি পার্টির হয়ে নির্বাচনেও লড়েছিলেন। বুধবার এমনটাই জানালেন শাহিনবাগে হামলাকারী কপিলের বাবা গজ সিং। তাঁর সাফ কথা, “আপের সঙ্গে ছেলের (কপিল) কোনও যোগ নেই।” প্রসঙ্গত, প্রাথমিক তদন্তের পর দিল্লি পুলিশের অভিযোগ ছিল, আম আদমী পার্টির সমর্থক কপিল। এমনকী দলীয় কর্মসূচিতে আপ নেতা সঞ্জয় সিং, অতিসিদের সঙ্গে তার ছবিও রয়েছে। কিন্তু তাদের সেই দাবি নস্যাৎ করে দিল কপিলের পরিবার।
প্রসঙ্গত, শনিবার শাহিনবাগে পুলিশের সামনেই গুলি চালিয়েছিল কপির গুজ্জর। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হেফাজতে নেয় দিল্লি পুলিশ। এরপর তদন্তে একের পর এক নতুন তথ্য উঠে এসেছে। দিল্লি পুলিশের দাবি ছিল, শাহিনবাগ আন্দোলনের জেরে তীব্র যানজট হচ্ছিল। তাতেই বিরক্ত হয়ে গুলি চালিয়েছিল কপিল। কিন্তু মঙ্গলবার দিল্লির পুলিশের অপরাধ দমন শাখার তরফে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়। জানা যায়, অভিযুক্ত কপিল গুজ্জর স্বীকার করেছে সে আপের সদস্য। এ প্রসঙ্গে অপরাধ দমন শাখার পদস্থ কর্তা রাজেশ দেও বলেন, “আমাদের প্রাথমিক তদন্তে, আমরা কপিলের ফোনের ছবির মাধ্যমে কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। এমনকী সে জেরায় স্বীকারও করেছে যে এক বছর আগে কপিল ও তার বাবা আপে যোগ দিয়েছে।” পুলিশের আরও দাবি, ছবিতে, কপিলকে আপ নেতা সঞ্জয় সিং এবং অতিশির সঙ্গে দেখা গিয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজাও।
[আরও পড়ুন : চোখ রাঙাচ্ছে ‘ড্রাগন’, যুদ্ধের প্রস্তুতিতে নয়া পদক্ষেপ ভারতীয় সেনার]
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই দিল্লি পুলিশের দাবি নস্যাৎ করে দেন কপিলের বাবা গজ সিং। তাঁর কথায়, “আমি বা আমার পরিবারের কেউই কখনও আপের সদস্য ছিলাম না। ওঁরা (আপের সদস্য) লোকসভা নির্বাচনের সময় আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। সেই সময় আমাদের আপের দলীয় টুপি পরিয়ে ছিল। ওটা তারই ছবি।” প্রসঙ্গত, দিল্লি পুলিশের তরফে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে আপ নেতা সঞ্জয় সিং কপিলের মাথায় আপের টুপি পরিয়ে দিচ্ছেন। সেই ছবি কপিলের মোবাইল থেকে পাওয়া গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের এক কর্তা। আর এই ছবিকে হাতিয়ার করেই আপকে নিশানা করেছে বিজেপি। কিন্তু কপিলের বাবার বিবৃতির পর তাঁদের আক্রমণের ধার কমে যাবে বলেই দাবি করেছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন :এনআরসির দিকে আরও এক ধাপ, এবার জাতীয় পরিচয়পত্র আনছে কেন্দ্র]
এদিন কপিলের বাবা আরও জানান, “শারীরিক অসুস্থতার পর রাজনীতি থেকে সরে এসেছিলাম। তারপর থেকে যে দলের প্রার্থীরাই প্রচার করতে এসেছেন, তাদের সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছি। বাদ পড়েনি বিজেপি প্রার্থীরাও।তাঁকেও তো মালা পরিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলাম।”