সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের ভুল মানচিত্র টুইট করে ট্রোলড হলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। সমালোচনার মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত সেই টুইট সরিয়ে দেন তিনি। কংগ্রেস নেতার কথায়, “আমি ভুল মানচিত্র টুইট করিনি। মানুষ বুঝতে ভুল করেছে।”
শনিবার সকালে কোঝিকোড়ে CAA বিরোধী মিছিলের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস। আর সেই মিছিলের প্রচারের জন্যই একটি পোস্টার বানিয়েছিল তাঁরা। সেই পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন শশী। কিন্তু সেই পোস্টারে ভারতীয় মানচিত্রের নকশা ভুল ছিল। ফলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
[আরও পড়ুন :রাজ্যপালে ‘আপত্তি’ পড়ুয়াদের, অশান্তির আশঙ্কায় যাদবপুরে স্থগিত বিশেষ সমাবর্তন]
কংগ্রেস নেতার সেই পোস্টকে কটাক্ষ করে একজন ইউজার লেখেন, “এই ভুল প্রথমবার নয়। একমাত্র কংগ্রেসের জন্যই কাশ্মীরের অংশ কিছুটা হলেও পাকিস্তানের দখলে রয়েছে।” আবার আরেক ইউজার লিখেছেন, “যাঁরা দেশের মানচিত্রের নকশা ঠিক মতো জানে না তাঁরা কী করে দেশের রক্ষা করবে!” একের পর এক কমেন্টে ভাইরাল হয়ে যায় ওই পোস্টটি।
My first event this morning: leading an @inckerala #IndiaAgainstCAA_NRC protest rally in Kozhikode. All welcome! (Replaces an earlier post which sought to depict not the territory but the people of India, in whose name we would be speaking. No wish2feed BJP trolls more fodder.) pic.twitter.com/Qxtb8akRkH
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) December 21, 2019
[আরও পড়ুন :‘অসমেও করেছি, বাংলাতেও গুলি করে মারব’, রাজ্যে অশান্তি নিয়ে তোপ দিলীপের]
পরে সমালোচনার মুখে পড়ে পোস্টটি ডিলিট করে দেন কংগ্রেস নেতা। পরে ফের পোস্টারের ছবি পোস্ট করেন তিনি। তবে এবার আর তাতে দেশের মানচিত্র ছিল না। পোস্ট প্রসঙ্গে শশী থারুর বলেন, “আমি ওই মানচিত্রের মাধ্যমে দেশের সীমানা বোঝাতে চাইনি। চেয়েছিলাম দেশের মানুষকে বোঝাতে।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপির ট্রোলের প্রতি বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কোনও ইচ্ছে আমার নেই।”
[আরও পড়ুন : আচার্য ধনকড়কে বয়কটের সিদ্ধান্ত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অশান্তির আশঙ্কা]
প্রসঙ্গত, শুরু থেকেই বিজেপি সরকারের নাগরিক সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করছে কংগ্রেস। এই আইনের বিরুদ্ধে উত্তাল গোটা দেশ। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল সংসদে ওঠার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই সেই বিল আইনে পরিণত হয়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতিবাদের ঝাঁজও। পড়ুয়া থেকে বর্ষীয়ান নাগরিক, খেটে খাওয়া মজদুর থেকে রূপালি পর্দার তারকা-একসঙ্গে সকলে পথে নেমেছেন। বির্তকিত আইন প্রত্যাহারে দাবিতে গলা মিলিয়েছেন সকলেই। তবে সেই প্রতিবাদী স্বর রোধ করতে পুলিশ-প্রশাসনও আগ্রাসী হয়েছে বলে অভিযোগ।