Advertisement
Advertisement
এভারেস্ট

‘চোখের সামনে দুজনের মৃত্যু দেখলাম’, বিভীষিকার সাক্ষী এভারেস্ট জয়ী

উল্লাসের পাশাপাশি মনখারাপের কথাও বললেন অমোঘ ঠুকারাম।

'Saw two die in front of me', Telangana climber recalls horror
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:May 26, 2019 5:31 pm
  • Updated:May 26, 2019 5:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাহাড়কে ভালবাসে, পর্বতারোহণ মজ্জায় অথচ এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখে না, এমন মানুষ বোধহয় খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। এভারেস্টের দুর্নিবার টান উপেক্ষা করে কার সাধ্য? এই টানের কারণেই প্রতিবছর একাধিক পর্বতারোহী এভারেস্ট জয়ের আশায় পাড়ি দেয়। ফিরে আসে মাত্র কয়েকজন। অনেকেরই তুষারসমাধি হয় পাহাড়ে। কিন্তু ফিরে চোখের সামনে সঙ্গীর মৃত্যু নিয়ে ফিরে এসে মুখ খোলে না কেউ। তবে তেলেঙ্গানার অমোঘ ঠুকারাম ব্যতিক্রম। চোখের সামনে বন্ধুর মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি তিনি। তাই এভারেস্ট জয়ের পর জয়োচ্ছ্বাস নয়, বন্ধুবিরহের আক্ষেপ শোনা গেল তাঁর গলায়।

অমোঘের বয়স মাত্র ২০ বছর। তেলেঙ্গানার রঙ্গারেড্ডি জেলার ইব্রাহিমপত্তনমে থাকেন তিনি। ছোট থেকেই পাহাড় তাঁর প্রিয়। এর আগে মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো জয় করেছেন। স্বপ্ন ছিল এভারেস্ট জয়ের। তাই ২০ বছর বয়সেই স্বপ্ন সফল করার কাজে নেমে পড়েছিলেন। পাড়ি জমিয়েছিলেন এভারেস্টে। কিন্তু সর্বোচ্চ শৃঙ্গজয়ের উল্লাসের চেয়ে তাঁর মনখারাপই হল বেশি।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: দেশ ছেড়ে ‘পালানোর চেষ্টা’, বিমানবন্দরে সস্ত্রীক আটক জেট এয়ারওয়েজের কর্ণধার ]

Advertisement

গত ২২ মে সকাল ৯টা ১৫ মিনিট নাগাদ এভারেস্ট জয় করেন অমোঘ। বেশ প্রতিকূল ছিল আবহাওয়া। কিন্তু সেসব বাধা দিতে পারেনি তাঁকে। ২২ মে এভারেস্ট জয়ের পর তিনি এখন নামতে শুরু করেছেন। এরপরই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়। ফোনে তিনি একটি সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, “আমার লক্ষ্য সপ্তশৃঙ্গ জয়। আমি এর মধ্যেই কিলিমাঞ্জারো জয় করেছি। ২২ মে এভারেস্ট জয়ও করলাম।” এরপরই নিজের বন্ধুর কথা জানান অমোঘ। বলেন, “৬ এপ্রিল আমি যাত্রা শুরু করি। আমার দুই সঙ্গী আমার সামনে মারা যায়। খারাপ আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি ওরা। কিন্তু আমি থামতে পারিনি। নিরাপদভাবে এভারেস্ট পৌঁছাতে পেরেছি, তাতে আমি খুশি। দেশকে গর্বিত করতে পেরেছি আমি।”  

তিনি আরও জানিয়েছেন, দেশের গর্ব হতে চান তিনি। তাঁর আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। রচকোন্ডার পুলিশ কমিশনার মহেশ ভাগবত, তেলেঙ্গানার পর্যটন কমিশনার সুনীতা ভাগবত-সহ কয়েকজন তাঁকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন। এছাড়া তেলেঙ্গানা সরকারের থেকেও সাহায্য পেয়েছেন তিনি। তবেই তাঁর এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন সফল হয়েছে। সম্প্রতি মাউন্ট এভারেস্ট থেকে ফেরার পথে মৃত্যু হয় এক ব্রিটিশ নাগরিকের। নাম রবিন ফিশার। বয়স ৪৪ বছর। মাত্র ১৫০ কিলোমিটার নেমে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। বিফলে যায় গাইডদের চেষ্টা। এছাড়া খারাপ আবহাওয়ার কারণে এক আইরিশ নাগরিক এভারেস্ট জয়ের পথে গিয়েও মাঝরাস্তা থেকে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁবুতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

[ আরও পড়ুন: এবার লোকসভায় নবনির্বাচিত ২৩৩ জন সাংসদ ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ