সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পয়লা ফেব্রুয়ারি পেশ হবে বাজেট। এমনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। বাজেট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই সোমবার এই রায় দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ওই মামলায় বলা হয়েছিল যে, পাঁচ রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের আগে বাজেট পেশ করে ভোটারদের প্রভাবিত করতে চাইছে কেন্দ্র। এই অভিযোগ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস কাহারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। বাজেট পেশ হলে ভোটাররা প্রভাবিত হবে বলে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই বলেই মত আদালতের।
প্রধান বিচারপতি জে এস কাহারের নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চটিতে রয়েছেন বিচারপতি অন ভি রমনা এবং ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে এই জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছিলেন এম এল শর্মা নামের এক আইনজীবী। ইতিমধ্যে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পাঞ্জাব, মণিপুর ও গোয়াতে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন শুরু হবে।
সূত্রের খবর, আসন্ন সাধারণ বাজেটে আয়করে বড়সড় ছাড় ঘোষণা করতে পারে অর্থমন্ত্রক। ব্যক্তিগত আয়ের উপর কর ছাড়ের উর্ধ্বসীমা আড়াই লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন লক্ষ টাকা করা হতে পারে। একইসঙ্গে ৮০সি-র আওতায় কর ছাড় দেড় লক্ষ থেকে বাড়িয়ে দুই লক্ষ টাকা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। নোট বাতিলের পর কেন্দ্রীয় বাজেটের উপর সাধারণ মানুষের একরাশ প্রত্যাশা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নোট বাতিলের পর সাধারণ মানুষের ক্ষতে প্রলেপ দিতে জনমোহিনী বাজেটই পেশ চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।এই বাজেটে গরিব ও মধ্যবিত্তর কথা বিশেষভাবে মাথায় রাখা হচ্ছে। এসবিআইয়ের একটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। সূত্রের খবর, ৮০সি ধারায় কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা দেড় লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হতে পারে দু’লক্ষ টাকা। গৃহঋণের সুদেও মিলতে পারে ছাড়। গৃহঋণে সুদের উপর কর ছাড় দুই লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে তিন লক্ষ টাকা করা হতে পারে। এই ধরনের বাজেট নির্বাচনের আগে পেশ হলে ভোটারদের প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল বিরোধী দলগুলি। ফলে সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতা। যদিও সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে তা আর থাকল না।