ছবি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্টেশনের নাম বান্দ্রা (Bandra)। কিন্তু দেখে তা বোঝার উপায় নেই। শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে বাড়ি ফেরার আশায় বিহারের শ্রমিকদের জনস্রোত বইছে বান্দ্রা স্টেশনের ভিতরে ও বাইরে।
দুমাস হতে যায় বাড়ি ছাড়া শ্রমিকেরা। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের আয়োজিত স্পেশ্যাল ট্রেনে বাড়ি ফিরতে হবে। সেই আশায় বান্দ্রা স্টেশনে ভিড় জমালেন বিহারের হাজার হাজার শ্রমিকেরা। কিন্তু কোথায় সামাজিক দূরত্ব? সেসব মানতে তখন কেউ রাজি নন। যতদূর দেখা যায় শয়ে শয়ে শ্রমিক চলেছেন ট্রেন ধরার আশায়। তবে ট্রেন আসার পর কিছু লোক উঠতে পারলেন ট্রেনে, বাকিদের স্টেশন থেকেই পত্রপাঠ ফিরিয়ে দিল পুলিশ। বান্দ্রা স্টেশনের এই ভিডিওতে দেখা যায়, মাথায় ভারী বোঝা নিয়ে হাজার হাজার শ্রমিকেরা হাঁটছেন। রাস্তায় তিল ধারণের স্থান নেই। গত সপ্তাহ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে স্বপ্ন নগরী মুম্বই থেকে পরিযায়ীদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়। আপাতত হাজার জনের ট্রেনে রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হয়েছে। বাকি শ্রমিকেরা কেউ বাস, কেউ বা ট্রাকে করে রাতের অন্ধকারে রওনা দিচ্ছেন বাড়ির উদ্দেশ্যে।
সোমবারই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানান, “প্রায় ৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে ইতিমধ্যেই ট্রেন ও বাসে করে বাড়ি পাঠানো সম্ভব হয়েছে। এমনকি পরিযায়ীদের অনুপস্থিতিতে পঞ্চাশ হাজারের মত শিল্পতালুককে খোলার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।” মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন দেশের বাকি রাজ্যগুলির মধ্যে এই রাজ্যেই শ্রমিকদের সবথেকে বেশি খেয়াল রাখা হয়। প্রতিদিন রাজ্যের ৬.৫ লক্ষ শ্রমিকদের তিনবেলা খাবারের আয়োজন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। আজ সকাল থেকেই ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাসে ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বহু শ্রমিকেরা। বান্দ্রা পুলিশের কথায়, স্পেশাল ট্রেনে শুধুমাত্র হাজার জন শ্রমিকদেরই উঠতে দেওয়া হয়েছে, যাদের রেজিস্ট্রেশন করা আছে।
পরিযায়ী শ্রমিকেরা কোথায় ভাল রয়েছেন আর কারা তাদের যত্নের ত্রুটি রাখছেন না তা নিয়ে দাবিদারের শেষ নেই। কিন্তু দিনের শেষে তবুও চোখের জল ফেলছেন এই পরিযায়ীরাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.