Advertisement
Advertisement

সোশ্যাল সাইটে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় লিখে সার্চ করলেই দেখা যাচ্ছে পর্নগ্রাফি!

কীভাবে এসব বন্ধ করা যায়, সেটাই এখন চিন্তার বিষয় DU-এর৷

Search for Delhi University on Twitter shows pornographic content
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 18, 2017 5:57 am
  • Updated:October 9, 2019 1:51 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়াই এখন তথ্যের ভাণ্ডার৷ সেখানে মেলে না, এমন কিছুই নেই৷ কিন্তু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সার্চ করেই হকচকিয়ে গিয়েছিলেন আরাধনা সিং৷ কারণ ভর্তি সংক্রান্ত তো কোনও তথ্য পাননি, উল্টে সকলের  সামনে ভেসে উঠেছিল পর্নগ্রাফি৷

[স্বাধীন হলে ‘শয়তান’ হবে নারীরা! যোগীর লেখা ঘিরে তীব্র বিতর্ক]

এক জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইটে DU (দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট করে বলা হয়) লিখে সার্চ করেছিলেন তিনি৷ প্রথম দশটি সার্চের মধ্যে একটিতেও বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কোনও তথ্য আসেনি৷ উল্টে খুলে গিয়েছে অ্যাডাল্ট সাইট৷ যেখানে অশালীন ছবি এবং মেসেজই ঘোরাঘুরি করছে৷ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এসব বন্ধ করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷ তাদের তরফে জানানো হয়েছে, তারা সরাসরি এ বিষয়ে কিছু করবে না৷ পুরো বিষয়টি সামলাবে থার্ড পার্টি৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক নীতা সেহগাল বলেন, “বর্তমানে আমাদের কোনও আধিকারিক নেই যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবেন৷ তাই আমাদের হাত বাঁধা৷ তাছাড়া সরাসরি কোনও অভিযোগ না পেলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়৷”

Advertisement

[পুলিশকর্মীদের ইস্তফা ঘোষণা করতে হবে মসজিদে গিয়ে, হুমকি জঙ্গিদের]

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে ওই সাইটের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলে৷ তাদের তরফে জানানো হয়, নোটিসের মাধ্যমে বিষয়টি তাদের সামনে তুলে ধরতে হবে৷ তবেই এ ধরনের কনটেন্ট ও সাইট বন্ধ করা যাবে৷ DU কিওয়ার্ড দিয়ে ওই সাইটে সার্চ করলে প্রথমেই আসছে ‘দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অদেখা কেলেঙ্কারি’, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হট অ্যান্ড কিউট ভারতীয় নারী’, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নগ্ন-মহিলার সঙ্গে যৌনমিলন’, ‘সেক্স টিউব অনলাইন গেম’এর মতো কনটেন্টগুলি৷ সঙ্গে সে সব পেজে থাকছে অশালীন ছবি ও ভিডিও৷ আরাধনা সিং জানান, মোবাইলের স্ক্রিনে আচমকা এমন অশালীন ছবি, ভিডিও ভেসে ওঠাটা ভীষণ লজ্জাজনক৷ তবে পুলিশ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কিছু জানাতে চাননি তিনি৷ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় নামের আগে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করায় এমন বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে ভাবমূর্তি যে নষ্ট হচ্ছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টও নেই৷ কীভাবে এসব বন্ধ করা যায়, সেটাই এখন চিন্তার বিষয় DU-এর৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ