সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা সরানো নিয়ে উত্তাল হয়েছিল সংসদ। এর ফলে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার জীবন বিপন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদরা। লোকসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন বহরমপুরের সাংসদ ও বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরি। আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন গান্ধী পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে। অবশেষে তাঁদের সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। এসপিজির পরিবর্তে দেওয়া জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তায় দেখা দিল বড়সড় গলদ। আচমকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাড়িতে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ল অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবতী ও চার যুবক। এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল দেশের রাজধানী দিল্লিতে।
[আরও পড়ুন: ‘লুট বন্ধ করুন’, খরচ বৃদ্ধি নিয়ে টেলিকম সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাঁর স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে মধ্য দিল্লির লোদি এস্টেটে বসবাস করেন। এতদিন সব ঠিকই ছিল। কিন্তু, কেন্দ্রের তরফে এসপিজির বদলে জেড প্লাস নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হতেই বদলে যায় ছবিটি। গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে আচমকা প্রিয়াঙ্কার লোদি এস্টেটের বাড়িতে গাড়ি চালিয়ে ঢুকে পড়ে এক যুবতী ও চার যুবক। তারপর গাড়ি থেকে নেমে সোজা পৌঁছে যায় বাড়ির বাগানে থাকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে। সেখানে গিয়ে কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে একটি ছবি তোলার আবদার জানায় তারা। বলে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে ছবি তোলার জন্যই উত্তরপ্রদেশের একটি শহর থেকে গাড়ি চালিয়ে এসেছে।
[আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার নামে জয়ধ্বনি, কংগ্রেস নেতার বক্তব্যে হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]
তাদের এই কথা শুনে অবাক হয়ে যান প্রিয়াঙ্কা। কারণ, তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য আগে থেকে যোগাযোগ করেনি ওই যুবতী এবং যুবক। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানদের কাছেও এই বিষয়ে কোনও খবর ছিল না। তাই ওই পাঁচজন গাড়ি নিয়ে কীভাবে সোজা বাড়িতে ঢুকে পড়ল তা জানতে চান কংগ্রেস নেত্রী। সিআরপিএফ জওয়ানদের কাছেও বিষয়টি জানতে চান। ততক্ষণে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে বিষয়টি সম্পর্কে তদন্ত শুরু করেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা। বাড়ির গেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়।