Advertisement
Advertisement

সীমান্তে উত্তেজনার আবহে নিরাপত্তা বাড়ল বায়ুসেনা এবং নৌবাহিনীর প্রধানের

এরা এবার থেকে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাবেন।

security of military chiefs increased
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 2, 2019 1:27 pm
  • Updated:March 2, 2019 1:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান দেশে ফেরার পর আপাত প্রশমিত ভারত-পাক উত্তেজনা। তবে, সীমান্তে উত্তেজনা একই রকম। সীমান্তের ওপার থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা খতিয়ে দেখছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা গেল গোড়াতেই গলদ। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই বায়ুসেনা এবং নৌসেনা প্রধানেরই। তাই, এবার এই দুই সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরা এবার থেকে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাবেন। যা দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাব্যক্তিরা পেয়ে থাকেন। সেনাবাহিনীতে একমাত্র সেনাপ্রধানই জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন।

[পাক সেনার গুলিতে পুঞ্চে নিহত ৯ মাসের শিশু-সহ একই পরিবারের তিনজন]

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং ছিল। গোটা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খতিয়ে দেখা হয়েছে। বায়ুসেনা এবং নৌসেনা প্রধানেরও নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন দুই বাহিনীর প্রধানই জেড প্লাস সিকিউরিটি পাবেন। ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা পাস করানো হয়ে গিয়েছে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওই আধিকারিক জানাচ্ছেন, সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের নিরাপত্তা পর্যাপ্ত। তবে, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা প্রধানের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা ছিল। তাই সেনাপ্রধানের সমানই নিরাপত্তা দেওয়া হল তাদের।

Advertisement

এয়ার চিফ মার্শাল বীরেন্দ্র সিং ধানোয়া এবং অ্যাডমিরাল জেনারেল সুনীল লাম্বার নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি পুলিশের কাছেও। ইতিমধ্যেই দুই বাহিনীর প্রধানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এই নিয়ে গোটা দেশে মোট ৫৫ জন জেড প্লাস নিরাপত্তা পাচ্ছেন।

Advertisement

[এক সংঘসেবকের পরাক্রমই ফিরিয়ে আনল অভিনন্দনকে, স্মৃতির মন্তব্যে বিতর্ক]

পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীদের একাংশ। যারা গোটা দেশকে নিরাপত্তা দেন, তাদেরই নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায় ওই হামলার পর। তাছাড়া বর্তমানে পাক সীমান্তে যে টানাপোড়েন চলছে, এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখাটা জরুরি ছিল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ