Advertisement
Advertisement
Kanpur

ষষ্ঠবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগেই বিপত্তি, পুলিশের জালে কানপুরের স্বঘোষিত ‘বাবা’

পঞ্চম স্ত্রীই ভেস্তে দিলেন সব পরিকল্পনা।

Self-proclaimed baba, preparing for sixth marriage, arrested in Kanpur after wife foils plan | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:June 19, 2021 3:15 pm
  • Updated:June 19, 2021 3:15 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ে (Marriage) করেছেন একটির পর একটি। কোনও স্ত্রীর থেকেই ডিভোর্স না নিয়েই জড়িয়েছে পরবর্তী দাম্পত্যে। পাঁচটি বিয়ের পরে ষষ্ঠ বিয়ের পরিকল্পনাও ছিল পাকা। কিন্তু অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়তেই হল কানপুরের (Kanpur) স্বঘোষিত ‘বাবা’কে। নাম তাঁর অনুজ চেতন কাঠারিয়া। কিন্তু নেটজগতে এই ‘গুণধরে’র নাম ‘লাকি পাণ্ডে’। এই নামেই নানা মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক। বলা যায় ফাঁদ। এমনকী গ্রেপ্তার করার সময়ও দেখা যায়, সেই মুহূর্তে ৩২ জন মহিলার সঙ্গে কথা চালাচ্ছিলেন ‘বাবা’।

কীভাবে পুলিশের কাছে ফাঁস হল তাঁর অপকর্মের হিসেব? সেকাজ করেছেন তাঁর এক স্ত্রী। কানপুরের ডিসিপি রবিনা ত্যাগী জানাচ্ছেন, ‘‘উনি অভিযোগ করেন অ নুজ পাঁচজনকে বিয়ে করে এবার ষষ্ঠবার গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন। এরপরই শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: অক্টোবরে নয়, দেড় মাসের মধ্যেই আসছে করোনার তৃতীয় ঢেউ, সাবধানবাণী এইমস প্রধানের]

অনুজকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে পুলিশ চমকে উঠেছে তাঁর ‘কীর্তি’র পরিচয় পেয়ে। ২০০৫ সালে প্রথমবার বিয়ে করেন অনুজ। সেই ডিভোর্সের মামলা এখনও ঝুলে আছে আদালতে। এর মধ্যেই ২০১০ সালে দ্বিতীয় বিয়ে। সেখানেও ডিভোর্সের মামলা। সেটাও এখনও ঝুলে রয়েছে। এরপর তৃতীয় বিয়ে। পরে তৃতীয় স্ত্রীর তুতো বোনকেও বিয়ে করেন। পরে সেই মহিলা আত্মহত্যা করেন চেতনের আসল পরিচয় পেয়ে। চেতনের অবশ্য কোনও হেলদোল ছিল না। ২০১৯ সালে ফের বিয়ে করেন তিনি। এই স্ত্রীই শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, তাঁর উপরে লাগাতার শারীরিক ও মানসিক অচ্যাচার করতেন চেতন।

Advertisement

কেবল এইটুকুতেই শেষ নয় অনুজের অপরাধের ফিরিস্তি। ২০১৬ সালে শাহজাহানপুরে তাঁর ভাইয়ের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই সময় তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। কেবল তাই নয়, ‘লাকি পাণ্ডে’ নামেও তিনি বিয়ের ওয়েবসাইটগুলিতে নাম ভাঁড়িয়ে জাল বিছোতেন। সেখানে কোথাও নিজেকে সরকারি স্কুলের শিক্ষক বলে পরিচয় দিতেন। কোথাও বা তান্ত্রিক, পুরোহিত, স্বঘোষিত ধর্মগুরু সাজার ভান করতেন।

[আরও পড়ুন: ইচ্ছাকৃতভাবে অক্সিজেন বন্ধ করায় করোনা রোগীর মৃত্যু নয়, আগ্রার হাসপাতালকে ‘ক্লিনচিট’ যোগীর]

এমনকী একটি আশ্রমে ‘তন্ত্র-মন্ত্রের’ সাহায্যে জীবনের সমস্যা সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও চলত লোক ঠকানো। বহু মহিলাকে এই আশ্রমে এনে যৌন হেনস্তা করতেন তিনি। অবশেষে জেলে ঠাঁই হয়েছে অনুজের। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে তাঁৱ বিরুদ্ধে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ