Advertisement
Advertisement
Shiv Shankar Baba

নাবালিকাদের যৌন হেনস্তার অভিযোগ স্বঘোষিত ধর্মগুরু শিবশংকর বাবার বিরুদ্ধে, দায়ের মামলা

একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।

Self-styled guru Shiv Shankar Baba booked after physical abuse complaints | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:June 13, 2021 5:26 pm
  • Updated:June 13, 2021 6:50 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশারাম বাপু কিংবা রাম রহিমের মতোই ফের এক স্বঘোষিত ধর্মগুরুর (Self-styled guru) বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিতে (Physical abuse) যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠল। এই ধর্মগুরুর নাম শিবশংকর বাবা (Shiv Shankar Baba)। তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) চেন্নাইয়ের কাছে কেলামবক্কমে তার একটি স্কুল রয়েছে। অভিযোগ, সেখানকার ছাত্রীদের যৌন হেনস্তা করেছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে মামলা।

ঠিক কী অভিযোগ শিবশংকরের বিরুদ্ধে? ‘সুশীল হরি ইন্টারন্যাশনাল রেসিডেনশিয়াল স্কুল’-এর অনেক পড়ুয়াই অভিযোগ এনেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তারা নিজেদের উপরে হওয়া ন‌ির্যাতনের কথা জানিয়েছে। আর এরপরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুকুলের দলত্যাগের পরই ত্রিপুরায় বিজেপিতে ভাঙনের আশঙ্কা, নজরে সুদীপ রায়বর্মন]

উল্লেখ্য , আগে শিশুকল্যাণ কমিটির তরফে তাঁকে ডেকে পাঠানো হলেও তিনি আসেননি। তাঁর দলের তরফে জানানো হয় বাবার বুকে ব্যথা। এবং সেজন্য তিনি দেরাদুনের হাসপাতালে ভরতি রয়েছে। পরে কেলামবক্কমের মহিলা পুলিশ থানায় তিনটি অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মাম‌লা দায়ের করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৬৩, ৩৬৫ ও ৩৬৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি পকসো আইনের নানা ধারাতেও অভিযোগ আনা হয়েছে স্বঘোষিত ওই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। মামলাটির গুরুত্ব বুঝতে পেরে ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু সরকার তদন্তভার সিবিসিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে ফেলে পালিয়েও পুলিশের জালে TikTok তারকা]

তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, যে তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে তার মধ্যে দু’টিই পকসো আইনের অন্তর্গত। তাঁর কথায়, ‘‘স্কুলটি স্থাপিত হয় ২০০১ সালে। অভিযোগকারিণীরা নাবালিকা। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলে পড়ার সময়ই তাঁদের যৌন হেনস্তা করেন অভিযুক্ত বাবা শিবশংকর।’’

অভিযুক্ত ধর্মগুরুকে যে কোনও দিনই গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত অবশ্য দক্ষিণ ভারত ছেড়ে উত্তর ভারতে গিয়ে রয়েছেন অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য বিশেষ দল গঠন করেছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ