Advertisement
Advertisement
গুজরাট

ধর্মের ভিত্তিতে রোগীদের আলাদা ওয়ার্ড! ‘গুজব’ বলে ওড়াল গুজরাট প্রশাসন

৪০ জন সংখ্যালঘুকে আলাদা ওয়ার্ডে রাথা হয়েছে বলে অভিযোগ।

Separate wards for Hindu and Muslim patients in Ahmedabad hospital
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 16, 2020 9:40 am
  • Updated:April 16, 2020 10:31 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মের ভিত্তিতে করোনা রোগীদের মধ্যে ভেদাভেদ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। গুজরাটের এক সরকারি হাসপাতালে হিন্দু ও মুসলিম করোনা রোগীদের জন্য আলাদা-আলাদা ওয়ার্ড বানানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। এ প্রসঙ্গে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট গুনবন্ত এইচ রাঠোরের সাফাই ছিল, “সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” এ বিষয়টি সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। রাজনৈতিকভাবে জলঘোলা শুরু হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে গুজরাটের রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল বলেন, “আমরা এমন কোনও নির্দেশ দিই নি। এ বিষয়ে কিছুই জানি না।” চাপের মুখে পড়ে হাসপাতালের সুপার পালটা অভিযোগ করে বলেন, “সংবাদমাধ্যম তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখা করেছেন।”

মহারাষ্ট্রে পর কেন্দ্র সরকারের রক্তচাপ বাড়াচ্ছে গুজরাট। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে আহমেদাবাদে হুহু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাটা। এর মাঝেই একটি খবর চাউর হয়। আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে ধর্মের ভিত্তিতে রোগীদের আলাগা ওয়ার্ডে রাখা হচ্ছে বলে জানায় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। এরপরই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযোগ ওঠে ওই হাসপাতালে থাকা ৪০ জন মুসলিম রোগীকে আলাদা ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। অথচ সরকারি হাসপাতালে স্রেফ লিঙ্গের ভিত্তিতে রোগীদের আলাদা ওয়ার্ডে রাখা যায়। এই খবর সামনে আসতেই অভিযোগ অস্বীকার ও দোষারোপের পালা শুরু হয়। শেষপর্যন্ত দাবি সরকারের তরফে দাবি করা হয়, “গুজব ছড়ানো হচ্ছে”।

[আরও পড়ুন : দেশে প্রথম, চিন থেকে ৫০ হাজার PPE কিট আমদানি করল বিজেপি শাসিত অসম]

মজাদার বিষয় হল এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সেই হাসপাতালে সুপার বলেন, “রাজ্য সরকারের নির্দেশে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি খারিজ করে দেন জেলা কালেক্টর কে কে নিরালা। বলেন, “সরকার এমন কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি।” একই প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নীতীন প্যাটেলও। তাঁর কথায়, “ধর্মের ভিত্তিতে নয়, লিঙ্গের (মহিলা ও পুরুষ) ভিত্তিতে রোগীদের আলাদা রাখা হয়। বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।” পরে অবশ্য হাসপাতালের সুপার পালটা সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বলেন, আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখা করা হয়েছে। এমনকী পিআইবির তরফেও গোটা ঘটনাটিকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন : লকডাউনের জের, শাহরুখের ‘উঠোনে’ই অভুক্ত বাংলার শতাধিক শ্রমিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ