সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : শহিদ বিক্রম বাত্রা। দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে কারগিল যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছিলেন এই সেনানায়ক। সে ক্ষতের অধ্যায় আজও দেশবাসীর মনে দগদগে। কিন্তু পালমপুরের মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল কি তা সত্যিই ভুলে গেল, দেশজুড়ে উঠছে সেই প্রশ্ন। ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় ক্যাপ্টেন বিক্রমের বাবা জি এল বাত্রার একটি ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ছেলের সমাধিতে পড়ে থাকা পাতা, নোংরা নিজের হাতে পরিস্কার করছেন বাবা। ছবিটি সামনে আসতে মূহূর্ত সময় লাগে। এরপরই দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পালমপুর মিউনিসিপালিটি অফিসের সামনেই বসানো রাখা হয়েছিল শহিদ বিক্রমের একটি মূর্তি। সামনে শহিদ বেদি। মিউনিসিপালিটি কেন বিষয়টি নিয়ে যত্নবান হল না উঠছে প্রশ্ন!
[তিন তালাক প্রথা বন্ধ করতে যজ্ঞে শামিল মুসলিম মহিলারা]
শহিদ বা দেশের জন্য নিজের প্রাণ উৎসর্গ করা মানুষগুলোকে বছরের বিশেষ কোনও একটি দিনেই মনে করা হয়। কর্তৃপক্ষের উচিত যথাযথ সম্মানের সঙ্গে বিষয়টি দেখার। বহু শহিদ বেদিরই এমন অবস্থা। প্রয়োজনে তারা কমিটি তৈরি করুন। কিংবা নিজেরা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে আরও যত্নবান হন। মনে কতটা আঘাত লাগলে, অভিমান জমাট বাঁধলে কেউ এমন কথা বলতে পারেন তা জি এল বাত্রার এই কথাগুলোতেই স্পষ্ট।ছবি দেখার পর এমনটাই বলছেন বিভিন্ন মানুষ। তবে মহকুমার ম্যাজিস্ট্রেট অজিত ভরদ্বাজ অবশ্য এই সবকিছুর জন্য আবহাওয়াকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণেই শহিদ মূর্তিটির এই অবস্থা।
[শিশুকে কোলে দিতেই আঁকড়ে ধরতে চাইলেন কোমায় আচ্ছন্ন মা]
কিন্তু সত্যিই কী এভাবে দায় এড়ানো যায়! বিশেষ করে সেই মানুষগুলোর ক্ষেত্রে, যাঁরা সমাজ-সংসার সবকিছু ছেড়ে দিনের পর দিন পড়ে থাকেন সীমান্তে। দেশকে রক্ষা করতে। দেশের জন্য প্রাণ দিয়ে দেন অনায়াসে। যাঁরা জোর গলায় সদর্পে ঘোষণা করতে পারেন, “হয় আমি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে ঘরে ফিরব কিংবা জাতীয় পতাকায় মুড়ে। কিন্তু আমি ফিরবই।” প্রশাসনকে কিন্তু এই মানুষগুলোর জন্য আরও দায়িত্ববান হতেই হবে। না হলে জবাবদিহি করতে হবে গোটা দেশের মানুষকে, মত বিভিন্ন শিবিরের।