Advertisement
Advertisement
শত্রুঘ্ন

‘বিজেপিতে ওয়ান ম্যান শো চলছে’, কংগ্রেসের হাত ধরেই মোদিকে আক্রমণ শত্রুঘ্নর

পাটনা সাহিব থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়বেন ‘বিহারীবাবু’৷

Shatrughan Sinha joins Congress ahead of Lok Sabha election 2019
Published by: Tanujit Das
  • Posted:April 6, 2019 1:48 pm
  • Updated:April 22, 2019 4:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা৷ আর রাহুল গান্ধীর দলে নাম লিখিয়েই নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কড়া সমালোচনা করলেন তিনি৷ বললেন, ‘‘বিজেপিতে এখন ওয়ান ম্যান শো এবং টু ম্যান আর্মি চলছে৷ সব কাজই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে৷ বহু শীর্ষ নেতাকে সরানো হয়েছে৷ ধীরে ধীরে দলের গণতন্ত্র নষ্ট হচ্ছে এবং একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে৷’’

[ আরও পড়ুন: ‘নিজেকে সংযত করুন’, নির্বাচন কমিশনের নিশানায় যোগী আদিত্যনাথ  ]

Advertisement

শনিবার দলত্যাগের আগে পুরনো দলের উদ্দেশে বেশ কয়েকটি টুইট করেন বিজেপির টিকিটে দু’বারের লোকসভার সাংসদ ও প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমার পুরনো দলকে বিদায় জানানোর সময় এসে গিয়েছে৷ এর কারণ সকলেই ভাল করে জানেন৷’’ আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘নিজের লোকদের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই৷ কারণ তাঁরা আমার পরিবারের মতো৷ এই দলের ছত্রছায়ায় আমি বেড়ে উঠেছি৷ ভারতরত্ন নানাজি দেশমুখ, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ও এল কে আডবানীর মতো মানুষের আশীর্বাদ ও নেতৃত্ব পেয়েছি৷’’ জানা গিয়েছে, বিহারের পাটনা সাহিব অর্থাৎ তাঁর পুরনো কেন্দ্র থেকেই কংগ্রেসের প্রার্থী হচ্ছেন শত্রুঘ্ন সিনহা৷ যেখানে বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদকে৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন:  ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’র তালিকায় উঠেছে নাম, বিতর্কে বিহারীবাবু  ]

গত সপ্তাহেই নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন শত্রুঘ্ন৷ তখই স্পষ্ট হয়ে যায় তাঁর দলবদলের চিত্রটা৷ প্রায় তিন দশক ধরে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত শত্রুঘ্ন। একাধিকবার সাংসদও হয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে পাটনা সাহিব থেকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না ‘বিহারীবাবু’র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সমালোচনা করে মাঝেমধ্যেই মুখ খুলেছিলেন তিনি। এমনকী গত ১৯ জানুয়ারি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে ব্রিগেডের সভায় এসে নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “আমি যদিও বিজেপির সঙ্গে আছি তবুও প্রথমে মানুষ ও দেশের হয়েই কথা বলব। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময় লোকশাহী বা গণতন্ত্রের প্রতি নজর দেওয়া হলেও প্রধানমন্ত্রী মোদির শাসনকালে তানাশাহী বা একনায়কতন্ত্র চলছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ