১৫ আশ্বিন  ১৪৩০  মঙ্গলবার ৩ অক্টোবর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

মোদির নোটবন্দির কারণেই কৃষকদের দুরাবস্থা, অভিযোগ শিব সেনার

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: June 7, 2017 12:14 pm|    Updated: June 7, 2017 12:14 pm

Shiv Sena lashes Modi Govt for poor condition of farmers

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোটবন্দির ‘বৈপ্লবিক’ সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব শাসকদলের বিভিন্ন নেতারা। দেশের অর্থনীতিতে তা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ঠিকই, তবে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন তাবড় অর্থনীতিবিদরা। কৃষি ও কৃষকও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অনুমান করেছিলেন তাঁরা। যদিও সে সময় তাঁদের সমালোচনায় বিদ্ধ করেছিলেন শাসকদলের নেতারা। সম্প্রতি আশঙ্কা সত্যি করে জিডিপি-র হার কমেছে। পাশাপাশি বিপন্ন হয়েছেন কৃষকরা। এ নিয়ে সরাসরি মোদির দিকেই আঙুল তুলল শিব সেনা।

[ জানেন, কেন শ্রীকৃষ্ণের ১৬,১০৮ জন স্ত্রী ছিলেন? ]

নোটবন্দির জেরে অংগঠিত ক্ষেত্র ও কৃষকরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা করেছিলেন বহু অর্থনীতিবিদ। যদিও কালো টাকা আটকানোর প্রচারে সে অনুমান আড়ালেই থেকে গিয়েছে। উল্টে ওই অর্থনীতিবিদদেরই সমালোচনা এমনকী হেনস্তার মুখে পড়তে হয়েছে। যদিও নোটবন্দির কয়েক মাস যেতে না যেতেই জালনোটের কারবার পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। নতুন নোটের বেশিরভাগ বৈশিষ্টই জাল করে ফেলেছে চক্রের পান্ডারা। এমনকী মাওবাদীদের কাছেও পাওয়া গিয়েছিল জালনোট। সম্প্রতি জাল নোট কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনআইএ। সুতরাং জালনোট চক্র যে ফের সক্রিয় তা প্রমাণিত। এদিকে জিডিপি কমার পাশাপাশি কৃষকদেরও অবস্থা শোচনীয় হয়েছে। তামিলনাড়ুর কৃষকরা টানা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। যন্তরমন্তরে ধরনা দিয়ে পড়ে থেকে দেশে কৃষকদের বেহাল চিত্র বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। গোদের উপর বিষফোড়া হয়ে ঘটল মধ্যপ্রদেশের মান্দসৌরের ঘটনা। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন ছয় কৃষক। যদিও প্রশাসন তা অস্বীকার করে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এ নিয়েই শাসকদলের দিকে আঙুল তুলল শিব সেনা। দলীয় মুখপাত্রে এ কারণে সরসারি কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে মোদিকেই।

শিরডি সাই মন্দিরে ভক্তদের পদক্ষেপেই তৈরি হবে বিদ্যুৎ ]

প্রকাশিত সম্পাদকীয়টিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নোটবন্দির সিদ্ধান্তের কারণেই অল্পদামে নিজেদের ফসল বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন কৃষকরা। না উঠেছে বিনিয়োগ, না  হয়েছে লাভ। উল্টে ঋণের বোঝা চেপে বসেছে ঘাড়ে। অভিযোগ, কৃষিক্ষেত্রের উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, এখন তা আরও খারাপ হয়েছে। মুখপত্রে আরও লেখা হয়েছে, টাকা থাকলে চাঁদে গিয়েও ভোটে জেতা যায়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সাধারণ মানুষকে চাকর ভাবতে হবে। যখন ভোটে জেতার জন্য কোটি টাকা খরচ হচ্ছে তখন ঋণ মকুবের জন্য কেন এত দ্বিধাগ্রস্ত প্রশাসন, এ প্রশ্নও তোলা হয়েছে। কৃষকদের প্রতি প্রশাসনের সহমর্মিতার অভাব নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই সম্পাদকীয়তে।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে