Advertisement
Advertisement
Vvaccination

১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ পিছিয়ে দেওয়া উচিত ছিল, উলটো সুর কেন্দ্রের কোভিড প্যানেলেরই

মে ও জুন মাসে সারা দেশের ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল‌ কেন্দ্রের।

Should have deferred COVID vaccination age group expansion, says central Covid panel | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:May 15, 2021 5:12 pm
  • Updated:May 15, 2021 5:41 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমাসের গোড়া থেকেই ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের টিকাকরণের (COVID vaccine) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এখনই তা না করে আরও একটু অপেক্ষা করা উচিত ছিল। এমন মত খোদ কেন্দ্রের কোভিড (COVID-19) বিশেষজ্ঞ প্যানেলের (central Covid panel) সভাপতি ডা. এনকে অরোরার। তিনি পরিষ্কার জানাচ্ছেন, ‘‘১৮ থেকে ৪৫ বছরের টিকাকরণ করার মতো ডোজ নেই। ডোজের ঘাটতি রয়েছে। আমার মতে এই সম্প্রসারণটা এখন না করে পিছিয়ে দেওয়াই উচিত ছিল।’’

গত জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় টিকা দেওয়া হয়েছিল ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুরকর্মী, পুলিশকর্মী-সহ সমস্ত কোভিড যোদ্ধা তথা ফ্রন্টলাইন কর্মীদের। পরের দফায় রাখা হয়েছিল ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা কোমর্বিডিটি রোগী ও বয়স্কদের। এরপর তৃতীয় দফাতেই অনেকটা এগিয়ে একেবারে ১৮ থেকে ৪৫ বছরের সকলকেই টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। মে ও জুন মাসে সারা দেশের ৩০ কোটি মানুষকে টিকার ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রাও রাখা হয়। আর এতেই আপত্তি ডা. এনকে অরোরার।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের পাঠানো ভেন্টিলেটর ঠিকমতো ব্যবহার হচ্ছে তো? দ্রুত অডিটের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর]

তাঁর মতে, এখনই এই সিদ্ধান্ত না নিয়ে আরও একটু অপেক্ষা করা উচিত ছিল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল কাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এবং এটা একেবারেই পরিষ্কার ছিল, কত টিকা মজুত রয়েছে তা দেখে নিয়ে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্যই হবে মর্বিডিটি ও মৃত্যুহার কমানো। ফলে সেই কারণেই সবথেকে বেশি ঝুঁকিবহুলদের আগে টিকা দেওয়া দরকার ছিল। এবং এখনও ওই বয়সিদের দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে দেশে।’’

Advertisement

তবে সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে টিকার ডোজে যে ঘাটতি রয়েছে তা মেনে নিয়েছেন ডা. অরোরা। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা অনেকেই ভাবছি বিদেশ থেকে টিকা চলে আসবে যদি আমরা চাই। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। সারা বিশ্বেই টিকার জোগান কম আছে। কেননা কয়েকটি উচ্চ আয়ের দেশেরই কুক্ষিগত হয়ে রয়েছে।’’

প্রসঙ্গত, দেশে টিকার ঘাটতি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই কয়েকদিন আগে কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে অন্তত ২০০ কোটি টিকার ডোজ চলে আসবে।

[আরও পড়ুন: অতিমারীতে মিল্ক ব্যাংকে দুধের ঘাটতি, শিশুদের জন্য মাতৃদুগ্ধ দানের আরজি নেটিজেনদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ