সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি ক্রমাগত ব্যধির আকার নিচ্ছে আমাদের সমাজে। এই মানুষকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে, পড়ুয়াদের পড়াশোনার বারোটা বাজাচ্ছে, তথা বিচ্ছিন্নতাবাদকে ইন্ধন জোগাচ্ছে এমন হাজারো অভিযোগ শোনা যায়। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যধিক সময় কাটানোর জন্য বিমান দুর্ঘটনা হতে পারে তা হয়তো জানা ছিল না অনেকেরই। কিন্তু এমনই সাফাই দিলেন খোদ বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া।
কিন্তু মাঝ আকাশে ইন্টারনেট পরিষেবা কাজ করে না। সুতরাং, সোশ্যাল মিডিয়ায় সংযোগের সুযোগ থাকছে না পাইলটদের কাছে, তাই আসক্তিতে দুর্ঘটনা হওয়ারও কথা না। কিন্তু, তেমনটাই নাকি হয়েছিল ২০১৩ সালে। রাজস্থানের বারমেরের কাছে উত্তরলাই বায়ুসেনা ঘাঁটির কাছে একটি যুদ্ধ বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল পাইলটের সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তির জন্য। একথা জানিয়েছেন খোদ বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধানোয়া। তিনি বলেন, “আজকাল দেখা যাচ্ছে সকলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছেন। সমস্যা হচ্ছে বেশিরভাগ উড়ান ভোরের দিকে ছাড়া হয়। ফলে পাইলটরা বেশি ঘুমানোর সময় পাচ্ছেন না। ” তিনি বলেন, “২০১৩ সালে উত্তরলাইয়ের দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল কারণ পাইলট দিনের পর দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটিয়েছেন, এবং সঠিক পরিমাণ ঘুম হয়নি তাঁর।”
আসলে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা হলে উড়ান নিষিদ্ধ থাকে। তাই বেশিরভাগ ফ্লাইটই ছাড়া হয় সকালের দিকে। পাইলট যদি আগের রাতে বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করে থাকেন। সেক্ষেত্রে, রাতে ভাল ঘুম হয় না পাইলটদের। আর তাতেই বাঁধছে বিপত্তি। বায়ুসেনা প্রধান বলেন, “বিমানে ওঠার আগে পাইলটরা আগের রাতে ভুল ঘুমিয়েছেন কিনা তা পরীক্ষা করার মতো কোনও পদ্ধতি এখনও আবিষ্কার হয়নি। কেউ রাতে মদ্যপান করলে তা ধরার পদ্ধতি আছে ব্রেথ অ্যানালাইজারের মাধ্যমে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ নতুন সমস্যা। আমি অ্যারোস্পেস মেডিসিন সোসাইটিকে অনুরোধ করব এমন কোনও পদ্ধতি বের করতে যাতে বোঝা যায় পাইলট উপযুক্ত পরিমাণ ঘুমিয়েছেন কিনা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.