Advertisement
Advertisement
কর্ণাটক

ইস্তফা দিচ্ছেন কুমারস্বামী! মাঝরাতেও যবনিকা পড়ল না কর্ণাটকের নাটকে

আজ সন্ধে ৬ টার মধ্যে শেষ করতে হবে আস্থা ভোট।

Speaker KR Ramesh Kumar giving a fresh deadline for the trust vote
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 23, 2019 9:13 am
  • Updated:July 23, 2019 9:13 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ নাটকের যেন কোনও যবনিকা নেই। নিত্যদিন একই পর্বের পুনরাবৃত্তি। বিধায়করা আসছেন, অধিবেশন শুরু হচ্ছে৷ বিজেপি দাবি করছে, অনাস্থা প্রস্তাবে ভোটাভুটি করতে হবে৷ সরকারপক্ষ দাবি করছে, আরও সময় প্রয়োজন। শেষবেলায় হইহট্টগোলের মধ্যে ভোটাভুটি আর সম্ভব হচ্ছে না। স্পিকার কে আর রমেশ সরকারপক্ষকে ডেডলাইন দিলেও, সেই সময়সীমার মধ্যেও ভোটাভুটি হল না সোমবার। আসলে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী এবং কংগ্রেস নেতারা চাইছেন, আরও কিছুটা সময় যদি চুরি করে নেওয়া যায়। যদি কোনওভাবে বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধানসৌধে হাজির করানো যায়। অন্যদিকে, বিজেপি চাইছে যত দ্রুত সম্ভব আস্থা ভোট করিয়ে নিতে। কারণ এখনই ভোট হলে কোনওভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে না কুমারস্বামী সরকার।

[আরও পড়ুন: সাফল্যের নেপথ্যে নেহেরুর অবদান! চন্দ্রযান-২ নিয়ে বিতর্কিত টুইট কংগ্রেসের]

শনিবার পর্যন্ত আস্থা ভোটে গড়িমসি করছিলেন খোদ স্পিকার। কিন্তু, সোমবার তিনি নিজেই আস্থা ভোট করানোর নির্দেশ দেন সরকারপক্ষকে। জানিয়ে দেওয়া হয় সন্ধে ৬ টার মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবে যাবতীয় আলোচনা শেষ করে ভোটাভুটির ব্যবস্থা করতে হবে। যা সরকারপক্ষকে রীতিমতো চাপে ফেলে দেয়। আসলে কাল রাত পর্যন্ত ডি কে শিবকুমার, সিদ্ধারামাইয়ারা লাগাতার চেষ্টা করে গিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করার। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত শিবকুমার হুমকি দিয়েছেন, বিধায়করা যদি ফিরে না আসেন তাহলে তাদের বিধায়কপদ বাতিল করা হবে। কিন্তু যারা নিজে থেকেই পদত্যাগ করছেন, তাদের এমন হুমকি দিয়ে যে লাভ হবার নয়, সেকথা হয়তো তিনি নিজেও জানেন।

Advertisement

যাই হোক, বিদ্রোহীদের সমর্থন মিলবে না জেনেই হয়তো মধ্যরাত পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যান কংগ্রেস বিধায়করা। যাতে স্পিকার কে আর রমেশও বিরক্ত। তিনি চাইছিলেন, কালই যেন ভোটাভুটি হয়ে যায়। শেষপর্যন্ত বাধ্য হয়েই আজ সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত সময়সীমা ঠিক করেছেন তিনি। এর মধ্যেই শেষ করতে হবে ভোটাভুটি।

Advertisement

এদিকে, সোমবার সন্ধের দিকে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর ইস্তফার জল্পনা ছড়ায়। এমনকী বেঙ্গালুরুতে ভাইরাল হয়ে যায় কুমারস্বামীর ইস্তফাপত্রের একটি ছবিও। জল্পনা ছড়ায়, নিজে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসের কোনও নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী চান কুমারস্বামী। যদিও, শেষপর্যন্ত সেই জল্পনায় জল ঢালেন কুমারস্বামী নিজেই। তাঁর দাবি, যে ইস্তফাপত্রটি ভাইরাল হয়েছে তা ভুয়ো।

[আরও পড়ুন: তথ্যের অধিকার আইন লঘু করার চেষ্টা! লোকসভায় পাশ RTI-সংশোধনী বিল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ