BREAKING NEWS

৯ আশ্বিন  ১৪৩০  বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

‘সংস্কৃতে কথা বললে নিয়ন্ত্রণে থাকে কোলেস্টোরল ও ডায়াবেটিস’, দাবি বিজেপি সাংসদের

Published by: Soumya Mukherjee |    Posted: December 13, 2019 9:13 am|    Updated: December 13, 2019 12:09 pm

Speaking Sanskrit Prevents Diabetes, Cholesterol: BJP Leader

বিজেপি সাংসদ গণেশ সিংহ

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংস্কৃতের উপযোগিতা ও উপকারিতা নিয়ে এর আগেও অনেক কথা সামনে এসেছে। যার মধ্যে কিছু যুক্তিপূর্ণ বলে সবার সমাদর পেয়েছে আর কিছু হয়েছে হাসির খোরাক। তারপরও সংস্কৃত নিয়ে হিন্দুত্বপন্থী সংগঠন বা বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেননি। সংসদ হোক বা প্রকাশ্য জনসভা, সব জায়গাতেই সংস্কৃত ভাষা নিয়ে তাঁদের জ্ঞানের বহর অন্যের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন! কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের এই উদ্যোগ বিতর্কেরও সূত্রপাত করেছে! যেমন হল বৃহস্পতিবার। সংসদে সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় বিল নিয়ে আলোচনার সময় সংস্কৃতে কথা বললে কোলেস্টোরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ গণেশ সিং। 

[আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ অসমে ‘পুলিশের গুলিতে’ নিহত ৩ বিক্ষোভকারী, মেঘালয়েও বন্ধ ইন্টারনেট]

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মতে, যদি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সংস্কৃতে করা হয়ে তাহলে তা নিখুঁত হয়। তাদের পাশাপাশি আমেরিকার একটি গবেষণা সংস্থাও সংস্কৃত নিয়ে তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। তারা গবেষণা করে দেখেছে যে প্রতিদিন সংস্কৃতে কথা বলা দেহের নার্ভ সিস্টেমকে উজ্জীবিত করে। ডায়াবেটিস ও কোলেস্টোরলকে সমুদ্রে ছুঁড়ে ফেলে। ইসলামিক ভাষাগুলি-সহ বিশ্বের ৯৭ শতাংশ ভাষাই সংস্কৃত থেকে সৃষ্টি হয়েছে।’

দেশের মধ্যে সংস্কৃত ভাষার প্রসারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। তাই তিনটি সংস্কৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি দিতে লোকসভায় আনা হয় সংস্কৃত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যাল বিল, ২০১৯। গত বুধবার সংসদে এই বিলটি উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতাপ চন্দ্র সারঙ্গী। বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কৃত খুবই নমনীয় একটি ভাষা। এতে একটি বাক্যকে বিভিন্নভাবে বলা যায়। ‘ব্রাদার ও কাউ’-এর মতো ইংরাজি শব্দগুলি সংস্কৃত থেকেই জন্ম নিয়েছে। আর বিশ্বের প্রাচীন এই ভাষার প্রচারের চেষ্টা অন্য কোনও ভাষার উপর প্রভাব ফেলবে না।’ বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত বিতর্কে অংশ নিতে গিয়ে কলকাতায় অমিত শাহের মিছিলের দিন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, ‘সংস্কৃত ভাষার প্রসারে কেন্দ্র যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে স্বাগত জানাই। তবে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি বিদ্যাসাগরের নামে নামকরণ করে ভাল হোত। তাঁর মূর্তি ভাঙার কলঙ্ক কিছুটা মোছা যেত।’

[আরও পড়ুন: CAB-এর প্রতিবাদে শামিল শিল্পীসমাজ, কারফিউ উপেক্ষা করেই বিক্ষোভে জুবিন]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে