Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফিরোজ খান

বিতর্কের জের, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ থেকে ইস্তফা মুসলিম অধ্যাপকের

সংস্কৃত বিভাগে মুসলিম অধ্যাপক নিয়োগের বিরোধিতায় সরব হয়েছিল ছাত্রদের একাংশ।

BHU professor Firoze Khan resigned from Sanskrit department
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:December 10, 2019 1:59 pm
  • Updated:December 10, 2019 2:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুমুল বিতর্কের ইতি ঘটিয়ে দিলেন নিজেই। সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম বিজ্ঞানের সহ-অধ্যাপকের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিরোজ খান। ঠিক করেছেন, কলা বিভাগে সংস্কৃত পড়াবেন। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

সংস্কৃত বিভাগে মুসলিম অধ্যাপকের নিযুক্তি নিয়ে তুঙ্গে পৌঁছেছিল বিতর্ক। কোনও অহিন্দু ব্যক্তির কাছ থেকে তারা বৈদিক ভাষার পাঠ নেবে না। এই দাবিতেই ছাত্রদের একাংশ তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এহেন পরিস্থিতিতে ফিরোজ খান জানিয়েছিলেন, কোরানের চেয়েও সংস্কৃত ভাল জানেন তিনি। কিন্তু প্রায় এক মাস ধৈর্য ধরে থাকলেও হুমকি-কটাক্ষ-সমালোচনা বন্ধ হয়নি তাঁর। কোনও বৈঠক-আলোচনায় মেলেনি সমাধানসূত্র। সেই কারণে শেষমেশ কঠিন সিদ্ধান্তটা একপ্রকার বাধ্য হয়েই নিয়ে ফেললেন অধ্যাপক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বুধবার রাজ্যসভায় পেশ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল! আটকে দিতে মরিয়া বিরোধীরা]

গত নভেম্বরেই বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের (BHU) সংস্কৃত বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন ফিরোজ খান। তারপরই দানা বাঁধে বিতর্ক। পড়ুয়াদের একাংশ দাবি করে বসে যে মুসলিম শিক্ষকের কাছ থেকে তাঁরা সংস্কৃতের পাঠ নেবেন না। এই বিরোধিতায় ছাত্রদের পাশে দাঁড়ায় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)। এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত মনোক্ষুণ্ণ হন সংস্কৃতে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী ফিরোজ খান।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি দ্বিতীয় শ্রেণি থেকেই সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনা করে এসেছি। আমার এলাকায় অন্তত ৩০ শতাংশ মুসলমান থাকা সত্বেও কোনওদিন আলাদা করে আমার পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। বহু পরিচিত হিন্দু বন্ধু ও প্রবীণরা আমার প্রশংসা করেছেন। আজ যখন আমি শিক্ষকতা করতে যাব, তখন আমার ধর্মকে টেনে আনা হচ্ছে।’ প্রতিবাদী ছাত্রদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনার সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই। কুমারসম্ভব বা অভিজ্ঞান শকুন্তলম পড়তে ধর্মীয় আচরণের কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর আশা ছিল ছাত্ররা মন পালটাবে। কিন্তু তেমন কিছুই না হওয়ায় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ফিরোজ খান। আপাতত তিনি কলা বিভাগে সংস্কৃত পড়াবেন বলেই খবর। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেয়, এখন সেটাই দেখার।

[আরও পড়ুন: ভাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে আরশোলা! বিজলি গ্রিলের খাবার দেখে আঁতকে উঠলেন অধীরকন্যা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ