প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মালবোঝাই ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা গাড়ির। সামান্য এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলা। মসজিদের সামনে এই দুর্ঘটনায় গাড়িতে সওয়ার এক দিব্যাঙ্গ যুবককে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি মারের অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। ব্যাপক মারধরের জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই ২২ বছর বয়সি ওই যুবকের। এই ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় হিন্দু সংগঠন। সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছে এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সীতারাম, সিকান্দার, দিলখুশ ও দীপক নামে চার যুবক শুক্রবার সন্ধ্যায় জাহাজপুর থেকে টঙ্ক জেলায় ফিরছিলেন। পথে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থানের সামনে একটি ঠেলাওয়ালার গাড়িতে ধাক্কা মারে গাড়িটি। সামান্য ধাক্কায় ওই ঠেলায় থাকা পেঁয়াজ মাটিতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর গাড়িটিকে ঘিরে ফেলে সেখানে উপস্থিত লোকজন। দিব্যাঙ্গ যুবক সীতারাম ওই ঠেলাওয়ালাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে সে কথা কানে তোলেনি ভিড়। অন্তত ২০ জন গাড়িটিকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি মার শুরু করে চারজনকে। ব্যাপক মারের জেরে গুরুতর আহত অবস্থায় সীতারামকে উদ্ধার করে বাকি তিন যুবক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা ঠেলাগাড়িতে ধাক্কা লাগার পর ব্যপক ভিড় গাড়িটিকে ঘিরে ধরেছে। চলছে মারধর। যুবকের মৃত্যুর পরও হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়েছে সেই ভিড়। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। ভিলওয়াড়া জেলার পুলিশ সুপার ধর্মেন্দ্র যাদব জানান, গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে। একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
এদিকে এই ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে মৃতের পরিবার। সীতারামের ভাই সোনু বলেন, “ও আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। আমার ভাইকে প্রায় ৫০ জন মিলে মারধর করে খুন করেছে। অপরাধীদের ফাঁসি চাই আমি।” এদিকে হিন্দু সংগঠনের দাবি, এটি পরিকল্পিত খুন। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জাহাজপুর থানার বাইরে প্রচুর মানুষ ভিড় জমিয়ে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। কোনও রকম সাম্প্রদায়িক হিংসা এড়াতে এলাকায় বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.