Advertisement
Advertisement

Breaking News

জঙ্গি মোকাবিলায় সরকারের পাশে বিরোধীরা, কেন্দ্রকে সমর্থন কংগ্রেসের

রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে পাশে থাকার বার্তা রাহুলের৷

Published by: Tanujit Das
  • Posted:February 15, 2019 3:52 pm
  • Updated:February 15, 2019 8:43 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকবেই৷ কিন্তু দেশের স্বার্থে সমস্ত দলকে এখন একজোট হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ রাজনৈতিক বিরোধ ভুলে তাতে সাড়া দিল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস৷ মোদির বার্তার পরই সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘আগামী কয়েকদিন অন্য কোনও বিষয়ে এখন কথা বলব না৷ এই চরম পরিস্থিতিতে আমরা সরকারের পাশে আছি৷’’

[গত দু’দশকে যে সব ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলা কাঁপিয়ে দিয়েছিল ভারতকে]

Advertisement

পাশাপাশি, শহিদ ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ানের প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন কংগ্রেস সভাপতি৷ বলেন, ‘‘তাঁদের বলিদান বিফলে যাবে না৷ কোনও ঘৃণা, কোনও প্ররোচনা দেশের শান্তিকে বিঘ্নিত করতে পারবে না৷ এই দেশ ভালবাসার ভিত্তিপ্রস্তরের উপর তৈরি হয়েছে৷ কোনওভাবেই সেই ভীতকে টলানো যাবে৷’’ কেবল নিজের দলই নয়, সমগ্র বিরোধীদের এই সময় সরকারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান করেন রাহুল গান্ধী৷ তাঁকে সমর্থন করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ তিনি জানান, এই সময় একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার না করে শহিদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো উচিত৷ তাঁদের সাহায্যার্থে হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত সকলের৷

Advertisement

দলের শীর্ষ নেতারা যখন সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন, তখনও পাকিস্তানের দোষ দেখতে পান না পাঞ্জাবের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধু৷ তাঁর যুক্তি, কয়েকজনের জন্য একটা গোটা দেশেকে দোষ দেওয়া যায় না।  শুক্রবার জঙ্গি হামলার নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘‘এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হওয়া প্রয়োজন৷ কথাবার্তার মাধ্যমেই একমাত্র এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব৷ কতদিন জওয়ানরা তাঁদের জীবন বিপন্ন করবেন? কতদিন আর রক্ত ঝড়বে?’’ যদিও মুখ খুলে কিছুটা কটাক্ষ ও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কংগ্রেস নেতাকে৷ কারণ, কয়েক মাস আগেই তিনি হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানে৷ হাজার সমালোচনা সত্বেও পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এবং কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি৷ করমর্দন করেছিলেন পাক সেনাপ্রধান এবং ভারত বিরোধী এক উগ্রবাদী নেতাকে৷ 

[সন্ত্রাস মোকাবিলায় সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা, যোগ্য জবাবের হুঁশিয়ারি মোদির]

প্রসঙ্গত, শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে, সমস্ত দলকে একত্রভাবে এই লড়াইয়ে শামিল হতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘এই সমস্যার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে সকলকে লড়াই করতে হবে৷’ সূত্রের খবর, পুলওয়ামার ঘটনার বিস্তারিত আলোচনার জন্য শনিবার সর্বদল বৈঠকের ডাক দিতে পারে কেন্দ্র৷ সেখানে বিরোধীদের কাছ থেকেও মতামত নেওয়া হয়ে পারে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ