সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই দোল (Dol Yatra) আর হোলি (Holi)। তার আগেই অবশ্য চিন্তা বাড়িয়েছে করোনার (Corona) নতুন স্ট্রেন। টিকাকরণ পুরোদমে চললেও ইতিমধ্যে দেশজু়ড়ে ফের বাড়ছে সংক্রমণের তীব্রতা। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে রাজ্যগুলিকে নয়া নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সামনেই দোল, হোলি, ইদ। তাই করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যগুলি চাইলে স্থানীয় স্তরে এই উৎসব উদযাপনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই পারে।
বুধবার সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের তরফ থেকে টুইট করে রাজ্যগুলিকে পাঠানো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই নির্দেশিকার খবর জানানো হয়। প্রত্যেকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিব কিংবা প্রশাসনিক শীর্ষ আধিকারিককে উদ্দেশ্য করে পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্যগুলি চাইলে আসন্ন হোলি, শবে বরাত, বিহু, ইস্টার এবং ইদ-উল-ফিতর উৎসবে স্থানীয় স্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। পাশাপাশি ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে।
Union Health Additional Secretary writes to Chief Secretaries/Administrators of states and UTs,” may consider imposing local restrictions in public observations of Holi, Shab-e-Barat, Bihu, Easter and Eid-ul-Fitr and limit mass gatherings”. pic.twitter.com/neGeJrzXZW
— ANI (@ANI) March 24, 2021
[আরও পড়ুন: ‘এনআইএ বলেছিল বিজেপিতে যোগ দিলেই মিলবে জামিন’, অসমে ভোটের মুখে বিস্ফোরক অখিল গগৈ]
এদিকে, রাজ্যে আট জনের শরীরে করোনার বিদেশি স্ট্রেনের দেখা মিলল। এর মধ্যে পাঁচ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে করোনার বিলেতি স্ট্রেন এবং তিন জনের শরীরে মিলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে হাওড়া, নদিয়া, কলকাতা এবং বসিরহাটের বাসিন্দাও রয়েছেন। যা আরও চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের।
অন্যদিকে, মঙ্গলবারই আবার এপ্রিল মাসের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতে সমস্ত রাজ্যগুলোকে টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট (Test-Track-Treat) প্রোটোকল অনুসরণ করতে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রোটোকল অনুযায়ী, প্রত্যেক রাজ্যকে আরও বেশি করে আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। অন্তত নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রত্যেকদিন ৭০ শতাংশ বা তার বেশি টেস্ট করাতে হবে রাজ্যগুলিকে। তাতে যাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ আসবে, তাঁদের দ্রুত আইসোলেশনে পাঠাতে হবে। এরপর ওই আক্রান্ত ব্যক্তি কাদের সংস্পর্শে এসেছে, দ্রুত তাঁদের ট্র্যাক করতে হবে এবং আইসোলেশনে পাঠাতে হবে। তারপর ওই ব্যক্তিদের এবং আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।