সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেএনইউ, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার মুম্বইয়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা মানল না নিষেধাজ্ঞা। মোদিকে নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র দেখল তারা। ক্যাম্পাস চত্বরে একত্রিত হয়ে নিজেদের ল্যাপটপ ও ফোনে ‘নিষিদ্ধ’ ডকু-সিরিজ দেখল টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস একদল পড়ুয়া। যদিও এর প্রতিবাদে ক্যাম্পাসের বাইরে এবিভিপি ও বিজেওয়াইএমের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফে পড়ুয়াদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, বিবিসির তৈরি মোদির তথ্যচিত্র দেখার জন্য পড়ুয়ারা যাতে জমায়েত না করে। যদি তা করা হয় তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপরেও কিছু ছাত্রছাত্রী একত্রিত হয়ে এই তথ্যচিত্র দেখার পরিকল্পনা করে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: প্রথম ঘুরতে যাওয়া! চাকরি পেয়েই মাকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ ছেলের, ভাইরাল আবেগঘন পোস্ট]
এর প্রতিবাদে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি ও বিজেপির যুব মোর্চার সদস্যরা জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিজেপির মুম্বই শাখার প্রধান আশিস শেলার টুইটারে হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখেন, পুলিশ দ্রুত এটা নিষিদ্ধ করুক। নাহলে আমাদের যা করার সেটাই করব। জানা গিয়েছে,টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস ছাত্র সংগঠনের নেতা প্রতীক পারমে জানান, সংগঠনের তরফে এরকম কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে ছাত্রদের একাংশ প্রোগ্রেসিভ স্টুডেন্টস ফোরামের তরফে এই উদ্যোগ নিয়েছিল।
BBC च्या बोगस डॉक्युमेंट्रीचा शो करुन मुंबई आणि महाराष्ट्रातील कायदा सुव्यवस्था Tata Institute of Social Sciences (TISS) बिघडू पाहतेय. पोलीसांनी तातडीने त्यावर बंदी घालावी अन्यथा आम्ही घ्यायची ती भूमिका घेऊ!
TISS ने हे असले धंदे बंद करावेत!!— Adv. Ashish Shelar – ॲड. आशिष शेलार (@ShelarAshish) January 28, 2023
[আরও পড়ুন: ‘দেবের সিনেমায় এনামুলের টাকা’, সরাসরি অভিযোগ হিরণের, সাবধান করলেন মিঠুনকে]
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সম্পর্কিত বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে উত্তাল হয় দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। জেএনইউয়ের (JNU) পর জামিয়া কর্তৃপক্ষও ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামের ওই তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন বন্ধ করার জন্য কড়া অবস্থান নিল। যার জেরে রীতিমতো হট্টগোল শুরু হয়ে গেল জামিয়া (Jamia University) ক্যাম্পাসে। এখনও পর্যন্ত হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ১২ জন পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।