৬ চৈত্র  ১৪২৯  মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ফের শরিকি কোন্দল!‌ এবার বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার হুঁশিয়ারি AIADMK’‌র

Published by: Abhisek Rakshit |    Posted: December 28, 2020 3:01 pm|    Updated: December 28, 2020 3:01 pm

Tamil Nadu Election: AIADMK sends Terse Message To BJP | Sangbad Pratidin

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:‌ দেশের একাধিক রাজ্যেই জোট গড়ে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। কিন্তু ধীরে ধীরে গেরুয়া শিবিরের উপর থেকে যেন মোহভঙ্গ হচ্ছে শরিক দলগুলোর। বিহারে (Bihar) JDU–এর মতোই দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতেও (Tamil Nadu) উলটো সুর শোনা গেল BJP’র আরেক জোট শরিক AIADMK–র গলাতেও। ২০২১ সালেই সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কোনও জাতীয় রাজনৈতিক দলের স্বৈরাচারী মনোভাব কোনওভাবেই মানবে না দল। প্রয়োজনে জোট হবে না। নাম না করেই বিজেপিকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিলেন AIADMK’‌র সাংসদ কেপি মুনুস্বামীর। যিনি আবার রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের ডেপুটি কো–অর্ডিনেটরও।

সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশে নিজের শরিকেরই ঘর ভেঙেছে বিজেপি। অরুণাচল বিধানসভায় নির্বাচিত জেডিইউয়ের ৬ বিধায়ক একসঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। ফলে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে প্রধান বিরোধী দলের তকমা হারিয়েছে নীতীশ কুমারের দল। আপাতত নীতীশের দলের হাতে রয়েছে একজন মাত্র বিধায়ক। আর এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে বিহারে। নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার থেকে সরে যাবেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী কে হবে?‌ কার্যত সেই প্রশ্নেই বিরোধ বেঁধেছে এআইএডিএমকে ও বিজেপি’‌র মধ্যে। প্রথম থেকেই পালানিস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছে এআইএডিএমকে। কিন্তু বিজেপিও ধারে–ভারে বুঝিয়েছে, এখনই তাঁরা এ ব্যাপারে জোটসঙ্গীদের সবুজ সংকেত দেবে না। এমনকী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, তা এড়িয়েই যান তিনি।

[আরও পড়ুন: জাত লেখা স্টিকার থাকলেই বাজেয়াপ্ত গাড়ি, উত্তরপ্রদেশে জারি নয়া নির্দেশিকা]‌

এরপরই রবিবার সাংসদ কেপি মুনুস্বামী স্পষ্ট জানান, ‘‌‘কোনও জাতীয় দল যদি স্বৈরাচারী মনোভাব দেখায়, তাহলে তাঁদের জোটে না থাকাই উচিত।’‌’‌ তাঁর এই বক্তব্য যে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করেই তা আর বুঝতে বাকি নেই। প্রসঙ্গত, আগামী বছর এপ্রিল–মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের মতো তামিলনাড়ুতেও বিধানসভা নির্বাচন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জোট শরিক বিজেপির রাজ্যে একজনও বিধায়ক বা সাংসদ নেই। তাই কোনওরকম সমঝোতাতেই হাঁটবে না প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার দল। ফলে বিহারের মতো দক্ষিণের এই রাজ্যেও বিপাকে বিজেপি।

[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে ‘বিদেশে’ রাহুল গান্ধী, তীব্র কটাক্ষ বিজেপির]‌

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে