Advertisement
Advertisement
Telengana Operation Lotus

তেলেঙ্গানায় ‘অপারেশন লোটাস’: অভিযুক্ত ৩ ‘বিজেপি এজেন্ট’কে আত্মসমর্পণের নির্দেশ হাই কোর্টের

পুরো ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির।

Telangana Operation Lotus: High Court Asks Accused To Surrender To Police
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 29, 2022 8:40 pm
  • Updated:October 29, 2022 8:40 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেলেঙ্গানায় বিধায়ক কেনাবেচা কাণ্ডে নয়া মোড়। মুক্তির নির্দেশ খারিজ করে অভিযুক্ত তিন বিজেপি এজেন্টকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিল তেলেঙ্গানা হাই কোর্ট। ওই তিন অভিযুক্তকে ফের সাইবারবাদ থানার পুলিশের হেফাজতে রাখা হবে। এর আগে নিম্ন আদালত ওই তিন অভিযুক্তকে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

সম্প্রতি তেলেঙ্গানাতেও অপারেশন লোটাস চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তেলঙ্গানার সাইবারাবাদ পুলিশ বুধবার রাতে হায়দরাবাদের কাছে আজিজনগরের একটি খামারবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই অর্থের বিনিময়ে ‘ক্ষমতাসীন তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির (TRS) চারজন বিধায়ককে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছিল ‘বিজেপির এজেন্টরা’। হয় ১০০ কোটি টাকা নিয়ে বিদ্রোহ করে বিআরএস (BRS) সরকার ফেলে দাও। নয়তো ইডি-সিবিআই(CBI) পিছনে লাগবে। তেলেঙ্গানা কেসিআর সরকার ভাঙতে ‘বিজেপি এজেন্টরা’ বিপুল অর্থের টোপ ও হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন সেরাজ্যের এক বিধায়কও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বিজেপিতে স্বস্তি নেই’, কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের]

‘বিজেপির এজেন্ট’ অভিযোগে হরিয়ানার ফরিদাবাদের এক মন্দিরের পুরোহিত রামচন্দ্র ভারতী, তিরুপতির ধর্মগুরু ডি শিমায়াজি এবং হায়দরাবাদের নন্দকুমার নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ধৃতরা টিআরএসের চার বিধায়ক পাইলট রোহিত রেড্ডি, বি হর্ষবর্ধন রেড্ডি, জি বলরাজু এবং রেগা কানথা রাওয়ের সাথে যোগাযোগ করেন। তাদের মোটা টাকার বিনিময়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। ধৃতদের গাড়ি থেকে নগদ ১৫ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও দাবি করে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এক সপ্তাহে তিন গণধর্ষণ ত্রিপুরায়, তিরে মন্ত্রীপুত্র! গ্রেপ্তার চেয়ে পথে তৃণমূল]

কিন্তু শুক্রবারই ধৃত তিনজনকে মুক্তি দেয় বিশেষ অ‌্যান্টি কোরাপশন ব্যুরো (এসিবি)কোর্ট। আদালত জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশেষ প্রমাণ মেলেনি। তাছাড়া, এই ক্ষেত্রে প্রিভেনশন অফ কোরাপশন অ‌্যাক্ট প্রযোজ‌্য নয়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যায় পুলিশ। হাই কোর্ট শুধু যে তিন অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে তাই নয়, সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে পরের শুনানিতে যেন তিনজনকেই জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। এদিকে বিজেপি এই ঘটনার তদন্তে সিবিআইয়ের মতো নিরপেক্ষ এজেন্সিকে কাজে লাগানোর দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিস দিয়েছে হাই কোর্ট। এই মামলার ফয়সলা না হওয়া পর্যন্ত তদন্তের কাজ না এগোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ